দেশে-বিদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্দর জেটিতে বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্রপাতি। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে জেটিতে প্রবেশের আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, মাস্ক পরিধান এবং শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বন্দর এলাকায় কর্মরত শ্রমিক এবং বিদেশি জাহাজের নাবিকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো.
তিনি জানান, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বন্দর হাসপাতালের দুটি বিশেষ নম্বরে যোগাযোগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকেও ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তবে, এই সতর্কতা আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে জানিয়েছেন মো. মাকরুজ্জামান।
বর্তমানে বন্দরে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। আমদানি-রপ্তানিকারকরা নিয়মিতভাবে জেটিতে এসে তাদের পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। চ্যানেলের ফেয়ারওয়েসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করা বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতেও স্বাভাবিক নিয়মে পণ্য পরিবহন চলছে।
স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চললে বন্দর ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে বলে আশা করছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী