ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত
Published: 14th, June 2025 GMT
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ছুরিকাঘাতে হুমায়ূন কবীর (২১) নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত হুমায়ূন কবীর সোনাকান্দি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। তিনি সহনাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, ‘‘পূর্বশত্রুতার জের ধরে হুমায়ূনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।’’
এবিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘‘ধারণা করা হচ্ছে, চায়ের দোকানে বন্ধুবান্ধবের সাথে বাগবিতণ্ডার জেরে এই হত্যাকাণ্ড। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ঢাকা/মিলন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে ফিরতেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার ব্যানারে মিছিলে অংশ নেওয়ার পর রাতে বাড়িতে ফিরতেই তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নূর হামীম রুশো (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আলিফ জাহান ওরফে পার্থ (২০), মো. মারুফ মিয়া (২৫)। তাঁরা সবাই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
আজ শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে ঢাকায় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা রাজধানীর উত্তরার মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।