জাতিসংঘের কিছু সুপারিশ মানা হয়নি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে
Published: 14th, June 2025 GMT
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের সংশোধনীতে জাতিসংঘের কিছু সুপারিশ মানা হয়নি। অধ্যাদেশটি জারির আগে গত মার্চে জাতিসংঘ এ বিষয়েটি বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছিল। কিন্তু গত মাসে জারি করা সংশোধিত অধ্যাদেশে দেখা যায় কিছু সুপারিশ এড়ানো হয়েছে।
বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে গত মাসে সংশোধিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে আগের আইনের ৯টি ধারা বাদ পড়েছে। তবে বাদ পড়া ধারাগুলোর কিছু বিধান নতুন অধ্যাদেশে যুক্ত করা হয়েছে।
এই অধ্যাদেশের প্রথম খসড়াতেও কিছু ধারা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সে অবস্থাতেই গত ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদ তা অনুমোদন দেয়। পরে সমালোচনার মুখে কিছু সংশোধনী আনা হয়। গত মার্চে ওই সংশোধনের সময় জাতিসংঘ কিছু সুপারিশ করে। কিন্তু গত ২১ মে চূড়ান্তভাবে যে অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে জাতিসংঘের কিছু সুপারিশ মানা হয়নি।
অবশ্য মানবাধিকারকর্মীরা বাতিল হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে তুলনা করে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ কে তুলনামূলকভাবে ভালো বলেছেন। তাঁরাও অবশ্য অধ্যাদেশের কিছু বিষয় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সংশোধিত অধ্যাদেশে এখনো অনেক ধারায় মতপ্রকাশকে ‘অপরাধ’ হিসেবে রাখা হয়েছে অস্পষ্ট সংজ্ঞার মাধ্যমে, যা অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান, যার ভয়ে অনেকে মতপ্রকাশে নিরুৎসাহিত হবেন।সংশোধিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে বলা হয়, সাইবার নিরাপত্তা আইনে নাগরিক সুরক্ষা–সংক্রান্ত বিধান অপ্রতুল থাকায় অপপ্রয়োগ ও নিপীড়নের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার খর্ব করেছিল। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) করা হয়। তবে আইনগুলো জনগণকে সুরক্ষা দিতে পারেনি বলে সমালোচনা ছিল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই আইনগুলো হয়ে উঠেছিল নিপীড়নমূলক। ওই আইনগুলো আন্তর্জাতিক মানের না হওয়ায় এবং মতপ্রকাশের পথে প্রতিবন্ধকতা ও বৈষম্যমূলক হওয়ায় দেশে–বিদেশে ছিল সমালোচনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টাকে ধারাগুলো সংশোধনে সুপারিশ দেয় জাতিসংঘ। তবে সংশোধিত অধ্যাদেশে তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটেনি।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সংশোধিত অধ্যাদেশে এখনো অনেক ধারায় মতপ্রকাশকে ‘অপরাধ’ হিসেবে রাখা হয়েছে অস্পষ্ট সংজ্ঞার মাধ্যমে, যা অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান, যার ভয়ে অনেকে মতপ্রকাশে নিরুৎসাহিত হবেন। পাশাপাশি নির্বাহীদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত একটি শক্তিশালী ও কেন্দ্রীভূত প্রশাসনিক কাঠামো রাখা হয়েছে, যার নজরদারিতে নেই কোনো বিচারিক তত্ত্বাবধান বা কোনো জবাবদিহি।
অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিআর) ১৯ ধারা মেনে চলার বাংলাদেশের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা একাধিকবার স্মরণ করিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ বলছে, সরকারের স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ছিল আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করবে। তবে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের সংশোধনীতে তা অনুপস্থিত, যা নিশ্চিত করতে সরকার আইনত বাধ্য।
গত ১৭ মার্চ জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার, প্রচার ও সুরক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত আইরিন খান বাংলাদেশকে বলেছিলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করায় তিনি মর্মাহত। যদিও অধ্যাদেশে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ অনেক ধারা বাতিল করা হয়েছে। অন্য অনেক বিষয়, যা নিয়ে জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ ছিল, তা বাদ দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের সুপারিশগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো গ্রহণ করা হয়েছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীসাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ সংশোধনের সময় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় কিছু ধারা নিয়ে উদ্বেগ ও সুপারিশ করেছিল। অধ্যাদেশে হ্যাকিংয়ের মতো সাইবার অপরাধ ও লিঙ্গভিত্তিক হয়রানিকে এক করে দেখা হয়েছিল। সংশোধনীতে অপরাধের ভিন্নতা আমলে নিয়ে শাস্তি ও জরিমানা ভিন্ন করেছে সরকার। এ ছাড়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংশোধনীর ২৩ (ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘হুইসেলব্লোয়ার’দের ‘বৃহত্তর জনস্বার্থে’ আইনের আওতায় আনা যাবে না। তবে ‘বৃহত্তর জনস্বার্থে’র কোনো ব্যাখ্যা অধ্যাদেশে দেওয়া হয়নি। ফলে ভিন্ন মতপ্রকাশে এ আইনের অপব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাচ্ছে।
সাইবার সন্ত্রাসকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতোই রাখা হয়েছে সংশোধিত অধ্যাদেশের ২৩ ধারায়। এ ধারাটি অত্যন্ত অস্পষ্ট, যা রাজনৈতিক ও মানবাধিকারকর্মীসহ সাংবাদিকদের বৈধ মতপ্রকাশে বাধা সৃষ্টি করবে। জাতিসংঘ বলছে, এ ধারায় অপরাধের কঠোর শাস্তির পরিপ্রেক্ষিতে সংজ্ঞাটি সুস্পষ্ট করা এবং আন্তর্জাতিক মান ও বিশ্বব্যাপী মানসম্পন্ন অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টাকে ধারাগুলো সংশোধনে সুপারিশ দেয় জাতিসংঘ। তবে সংশোধিত অধ্যাদেশে তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটেনি।সংশোধিত অধ্যাদেশের ২৫ ধারায় যৌন হয়রানি, প্রতিশোধমূলক পর্নোগ্রাফি, ব্ল্যাকমেইলিং বা অশ্লীল বিষয়বস্তু প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে আমলে নেওয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ, যা ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ বা ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ ছিল না। তবে এখানে অশ্লীলতার পূর্ণ ব্যাখ্যা বা সীমা ঠিক করে দেওয়া হয়নি। এতে করে অস্বচ্ছভাবে এর প্রয়োগ হতে পারে।
সাইবার স্পেসে জাতিগত বিষয়ে সহিংসতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সংশোধিত অধ্যাদেশের ২৬ ধারায়। এখানে ‘ঘৃণা’ বা ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। ফলে অস্পষ্টতা থেকে গেছে, যা সংখ্যালঘু, ধর্মনিরপেক্ষ মত এবং সমাজ সংস্কারকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগের সুযোগ থাকছে। এ ধারাটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড আইসিসিপিআরের ধারা ২০ (২) সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে মনে করে জাতিসংঘ।
সংশোধিত অধ্যাদেশের ২৭ ধারায় অপরাধ সংঘটনে ‘সহায়তা’ করলে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু ‘সহায়তা’ কী, তা সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। এতে করে এ ধারার ফাঁকে কর্তৃপক্ষ কাউকে অযৌক্তিকভাবে ফৌজদারি অপরাধে জড়িত করতে পারে। এ ধারার অস্পষ্ট ভাষা এবং মামলা-মোকদ্দমার আশঙ্কা মানুষকে অনলাইন বিতর্কে অংশগ্রহণ বা তথ্য প্রচার থেকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। এর ফলে স্বআরোপিত বিধিনিষেধ ও ভিন্নমত পোষণকারীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে জাতিসংঘের সুপারিশগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, জাতিসংঘের সুপারিশগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট আশঙ ক ত করত আইন র সরক র অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
মাঝরাতে সরকারি কর্মকাণ্ড কতটা স্বাভাবিক
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রাতের কর্মকাণ্ড নিয়ে বোধকরি একটা মহাকাব্য লিখে ফেলা সম্ভব। তাঁরা যেভাবে গভীর কিংবা শেষ রাতে নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, ফেসবুকে বার্তা দিচ্ছেন; তাতে তো মনে হচ্ছে সরকারের কর্তা-ব্যক্তিরা দিনে কাজ না করে রাতেই মনে হয় বেশি কাজ করেন! কয়েকটা উদাহরণ বরং দেওয়া যাক।
মাস কয়েক আগে যখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক ভাবে খারাপ হয়ে গেল, আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রাত তিনটার সময় সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন! বাংলাদেশের ইতিহাসে রাত তিনটার সময় আর কোনো মন্ত্রী এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করেছেন কি না, আমার অন্তত জানা নেই। আমরা সবাই ভাবলাম, তিনি হয়তো বড় কোনো ঘোষণা দেবেন। এরপর কী দেখলাম?
তিনি খুব সাধারণভাবে বললেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার নিজেদের উদ্যোগকে কঠিন ও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে।
সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎ আকাশ থেকে একটি যুদ্ধবিমান ঢাকা শহরের উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়ল। আগুনে দগ্ধ শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিজেরা উঠে এসে হাঁটছে; এমন দৃশ্যও আমাদের দেখতে হয়েছে। যে দৃশ্য দেখলে যে কেউ হয়তো ট্রমায় চলে যাবে। ওই স্কুলের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা হয়তো সরাসরি সেই দৃশ্য দেখেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই চলতে থাকে—এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া সময়ের দাবি ছিল। এ সিদ্ধান্ত সরকার দিনের বেলাতেই নিতে পারত। অথচ আমরা কী দেখলাম?
সরকারের পক্ষ থেকে রাত তিনটার দিকে ফেসবুকে এসে ঘোষণা করা হলো, পরের দিনের এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।
যখনই আপনি সরকারের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করবেন কিংবা আপনার মনে এই প্রশ্ন জাগবে; তখনই কিন্তু রাষ্ট্র ভালো আছে কি না; সেই প্রশ্নও সামনে আসবে।দিন দু-এক আগে এ সরকারকেই যাঁরা চাকরি দিয়েছেন, এ কথা বলছি কারণ, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছিলেন, ‘ছাত্ররা আমার নিয়োগকর্তা’—সেই ছাত্রদের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গভীর রাতে ফেসবুক এসে লাইভ করেন প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
এই আড়াই ঘণ্টার লাইভে মূল যে বক্তব্য তিনি তুলে ধরেছেন, সারমর্ম করলে দাঁড়ায়: বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম মানি মেকিং মেশিনে পরিণত হয়েছে এবং অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত। তিনি এটাও বলেছেন, এই সংগঠনের সব সিদ্ধান্ত হেয়ার রোড থেকে আসে। অর্থাৎ উপদেষ্টারা যেখানে থাকেন।
এদিকে সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটা ফেসবুক পোস্ট করেছেন। যদিও ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তিনি বেশ কয়েকবার এডিট করেছেন। তবে প্রথমে যা লিখেছেন, সেটা হচ্ছে, নতুন একটি দলের মহারথীদের কয়েকজন দুর্নীতিতে জড়িত। এ ছাড়া তিনি এটাও বলেছেন, একটা সার্কেলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে তাঁদের কেন প্রশ্রয় দেওয়া হলো? আপনারা যদি জানেনই কিছু মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত। তাহলে সরকারের অংশ হিসেবে আপনাদের তো দায়িত্ব তাঁদের আইনের আওতায় আনা। সেটা না করে ফেসবুকে পোস্ট করতে হচ্ছে কেন? তা–ও আবার রাত তিনটায়!
এই সরকার কি মাঝরাতের ফেসবুকীয় সরকারে পরিণত হয়েছে? পরীক্ষা পেছানোর মতো সিদ্ধান্ত যখন মাঝরাতে নিতে হয়, সংবাদ সম্মেলন যখন রাত তিনটায় করতে হয়, তখন তো প্রশ্ন জাগতেই পারে। কারণ এটা তো স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়।
যখনই আপনি সরকারের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করবেন কিংবা আপনার মনে এই প্রশ্ন জাগবে; তখনই কিন্তু রাষ্ট্র ভালো আছে কি না; সেই প্রশ্নও সামনে আসবে।
রাষ্ট্র যদি ভালো না থাকে তবে তার মাত্রা কতটুকু, সেটা নির্ণয় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
আমিনুল ইসলাম প্রভাষক, এস্তোনিয়ান এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ইউনিভার্সিটি
[email protected]