যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তে ৩০ কি.মি পথে থেমে থেমে চলছে গাড়ি
Published: 14th, June 2025 GMT
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের গোল চত্বর থেকে করটিয়া পর্যন্ত থেমে থেমে যানবাহন চলছে। আজ শনিবার ভোর থেকে কয়েকটি ছোট ছোট সড়ক দুর্ঘটনা ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় ধীরগতিতে যানবাহন চলছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১৭ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার ভোর পৌনে ৬টা থেকে বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ। ঝাউল ওভারব্রিজের অদূরে এনডিপি অফিসের সামনে আমবোঝাই ট্রাকসহ কয়েকটি যানবাহন বিকল হলে এ যানজট তৈরি হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এছাড়া গভীর রাতে যমুনা সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলতি গাড়ি রেকার দিয়ে সরাতে কিছুটা সময় লাগে। এ সময় হাজার হাজার গাড়ির গতি থেমে যায়। এছাড়াও টোল আদায়ে ধীর গতির কারণে যানবাহনের সারি বেড়ে যায়। সেতুর পূর্বপ্রান্তের গোল চত্বর থেকে করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেমে থেমে যানবাহন চলছে।
এ ব্যাপারে যমুনা সেতু পূর্ব থানার ওসি ফয়েজ আহমেদ জানান, সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। কেউ হতাহত না হলেও সারা রাত সেতু দিয়ে যানবাহন ধীর গতিতে চলাচল করে। সকাল হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। আবার এলেঙ্গা, শহর বাইপাস রাবনা ও করটিয়ার করাতিপাড়ায় আজ দুপুর ১২টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে যানবাহনের স্বাভাবিক গতি আবার থেমে যায়। মহাসড়কে কোথায় যানবাহনের স্বাভাবিক গতি থাকলেও আবার কিছুদূর গিয়েই গতি থেমে যাচ্ছে। তবে উত্তরবঙ্গের দিকে স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনার কারণে যানবাহন ধীরগতিতে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। তবে যানজট নেই। যানজট যাতে না হয়; সেজন্য পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য নজট সড়ক দ র ঘটন য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।
ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।
মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”
মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলি অভিযান সমর্থন করেছিলেন।
গ্যালাপের মতে, মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ