ইসরায়েলে ইরান আবারও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। হামলায় ১৯ জন আহত হাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ইসরায়েলের বাসিন্দাদের সুরক্ষিত স্থানে যেতে বলা হয়েছে। খবর বিবিসির।

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে যে, তাদের অ্যারোস্পেস ফোর্স হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এটি সামরিক অভিযান ট্রু প্রমিজ-৩-এর অংশ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, আজ রাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে তেহরান। 

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের পশ্চিমাঞ্চলের গ্যালিলি এলাকায় একটি দোতলা ভবনে ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি পরিষেবা এমডিএ। এ ছাড়াও হাইফা শহরে পাঁচজন আহত হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, সেনা গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, তেহরান আজ রাতে আরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইসরায়েলের হামলার জবাবে গত শুক্রবার রাতে ইরান পাল্টা হামলা চালায়। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে তেহরান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ