৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্টের আয়োজন করেছে প্রথম আলো। নিয়মিত আয়োজনের আজ ১৪তম পর্বে বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণ বিষয়ের ওপর মডেল টেস্ট প্রকাশ করা হলো। মডেল টেস্ট তৈরি করেছেন ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া আবু তালেব সুরাগ।

১. বাংলা ব্যাকরণের কোন অংশে প্রত্যয় নিয়ে আলোচনা করা হয়?
ক.

বাক্যতত্ত্ব
খ. রূপতত্ত্ব
গ. ধ্বনিতত্ত্ব
ঘ. অর্থতত্ত্ব

২. সর্বস্বান্ত শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. সর্ব+স্বান্ত
খ. সর্বস্ব+আন্ত
গ. সর্বস্ব+অন্ত
ঘ. সর্বস্ব+শান্ত

৩.লব্ধ শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. লব+দ্ধ
খ.লভ্‌+ত
গ. লবো+ব্ধ
ঘ.  লভ্‌+ত্ত্ব

৪. নিচের কোনটি ঘোষধ্বনি?
ক. ড
খ.ত
গ. স
ঘ.সব কটি

৫. শুক্রবার > শুকুরবার কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
ক.  সমীভবন
খ.  বিপ্রকর্ষ
গ. অন্তর্হতি
ঘ. অভিশ্রুতি

৬. স্বভাবতই ‘ণ’ হয়নি কোন শব্দে?
ক. বাণিজ্য
খ. গ্রহণ
গ. কঙ্কণ
ঘ. স্থাণু

৭. পাঞ্জাবি শব্দটি একটি—
ক. মৌলিক শব্দ
খ. রূঢ়ি শব্দ
গ. যৌগিক শব্দ
ঘ. যোগরূঢ় শব্দ

৮. জাঁদরেল কোন ভাষার শব্দ?
ক. ফারসি
খ. পর্তুগিজ
গ. সংস্কৃত
ঘ. আরবি

৯. ‘নয়ন’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?
ক. নৃ+অনট
খ.√নি+অনট
গ. নী+অনট
ঘ. নে+অনট

১০. নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ কোনটি?
ক. অরক্ষণীয়া  
খ. শিক্ষয়িত্রী
গ. জা
ঘ. অরণ্যানী

১১. সাধারণ পূরণবাচক শব্দ কোনটি?
ক. নবম  
খ. পয়লা
গ. আধ
ঘ. ছয়

১২. ‘শশাঙ্ক’ শব্দের সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
ক. শশে অঙ্ক যার
খ. শশের অঙ্ক
গ. শশ অঙ্কে যার
ঘ. অঙ্কের শশ

১৩. ‘আলুনি’ শব্দে ব্যবহৃত উপসর্গের নাম কী?
ক. বিদেশি
খ. তৎসম
গ. বাংলা
ঘ. ফারসি

১৪. সাধারণ অনুসর্গের প্রয়োগ ঘটেনি কোন বাক্যে?
ক. আজ বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার খেলা।
খ. মন দিয়ে লেখাপড়া দরকার।
গ. এমন কাজ সোহেলের দ্বারা হবে না।
ঘ. কার কাছে গেলে জানা যাবে?

১৫. জাতিবাচক বিশেষ্যের উদাহরণ কোনটি?
ক. পর্বত
খ. দল
গ. বাটি
ঘ. খাতা

১৬. ‘রোগী পথ্য সেবন করে’ কিসের উদাহরণ?
ক. কর্তৃবাচ্য
খ. কর্মবাচ্য
গ. ভাববাচ্য
ঘ. কর্মকর্তৃবাচ্য

১৭. কোন বানানটি শুদ্ধ?
ক. ষাণ্মাষিক
খ. পরিষেবা
গ. বিভূতিভূষন
ঘ. ইতিমধ্যে

১৮. নিচের কোনটি অপপ্রয়োগ?
ক. অধৈর্যতা
খ. কৃপণতা
গ. কার্পণ্য
ঘ. স্বতন্ত্রতা

১৯. কোকিলের সমার্থক শব্দ কোনটি?
ক. বায়স
খ. পরভৃৎ
গ. অন্যভৃত
ঘ. পরপোষক

২০. ঘণ্টাগড়ুর বাগধারার অর্থ কী?
ক. অকর্মণ্য ব্যক্তি
খ. অলস ব্যক্তি
গ. স্বার্থপর ব্যক্তি
ঘ. অসহায় ব্যক্তি

মডেল টেস্ট ১৪ এর উত্তর:  
১.খ। ২.গ। ৩.খ। ৪.ক। ৫.খ। ৬.খ। ৭.খ। ৮.গ। ৯.গ। ১০.ক।
১১.ক। ১২.গ। ১৩.গ। ১৪.খ। ১৫.ক। ১৬.ক। ১৭.খ। ১৮.ক। ১৯.গ। ২০.ক। 

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ক নট

এছাড়াও পড়ুন:

৪৭তম বিসিএস প্রিলিতে কম উত্তীর্ণে কী বার্তা দিল পিএসসি

সদ্য প্রকাশিত ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফলাফলে অনেকের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বলা যায়। প্রিলিমিনারিতে মাত্র ১০ হাজার ৬৪৪ জন উত্তীর্ণের বিষয়টি কল্পনাতীত ছিল, যেখানে জেনারেল, শিক্ষা ও কারিগরি মিলিয়ে মোট ক্যাডার পদসংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৪০০। অনেকে বলছেন, এতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারে অনেক পদ পূরণ হবে না। কিন্তু বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) বিষয়টি নিয়ে খুব বিচলিত বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, অতীতে এর থেকে কম পদসংখ্যা থাকলেও পদের তুলনায় সাত-আট গুণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করা পিএসসির এবার এত কম উত্তীর্ণের পেছনে কৌশলগত কারণ কী হতে পারে? সেই বিষয়গুলোতে একটু আলোকপাত করা যাক।

পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রতা কমানো

পদের তুলনায় কম উত্তীর্ণের একটা উল্লেখযোগ্য কারণ—বিসিএস পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রতা কমানো। অনেক বছর ধরেই আলোচনায় ছিল পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া স্বল্পতম সময়ে শেষ করার জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ। বিগত ৪১তম বিসিএসের সার্কুলার থেকে শুরু করে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের কর্মে যোগদানের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে পাঁচ বছরের বেশি সময়। এতে পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র—সবাই বঞ্চিত হয়েছে। ১২ হাজার ৭৮৯ পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশে সোয়া এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে ৪৫তম বিসিএসের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। প্রিলিমিনারিতে কম পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হলে লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন দ্রুততর হওয়া সম্ভব। সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমবে, তাই মৌখিক সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও ফলাফল তৈরিও দ্রুততম সময়ে হবে।

নন-ক্যাডার আন্দোলনের প্রভাব

গত বেশ কয়েকটি বিসিএস ফলাফলের পর নন-ক্যাডারে নিয়োগ নিয়ে ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত না হওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। অনেক চাপ সৃষ্টিকারী গ্রুপ দাবি করছে যাতে প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইভা পাস করলে পরীক্ষার্থীদের কোনো না কোনো পদে যাতে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা এত বেশি নয় যে সবাইকে সুপারিশ করা সম্ভব। অধিকাংশই তৃতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম পরীক্ষার্থী প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ করা পিএসসির জন্য সুবিধাজনক বলা চলে।

আরও পড়ুনস্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে নিয়োগ, পদ ১২৭৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাতা মূল্যায়নে নৈর্ব্যক্তিকতা বৃদ্ধি করা

খাতা মূল্যায়নে পিএসসি বেশ ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। পরীক্ষকদের পিএসসিতে ডেকে নিয়ে এসে সার্কুলার সিস্টেমে প্রতি পরীক্ষককে দিয়ে একটি মাত্র প্রশ্নের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এতে খাতা দেখার গতি যেমন বাড়বে, তেমনি প্রত্যেক শিক্ষক একটি মাত্র প্রশ্নের উত্তর মূল্যায়ন করলে তাতে পরীক্ষকদের একই খাতা মূল্যায়নে নম্বরের বিচ্যুতি দূর হবে। এই সিস্টেমে খাতার সংখ্যা যত কম হবে, মূল্যায়ন ততই ভালো হবে বলা যায়।

পদ খালি থাকার চ্যালেঞ্জের সমাধান

পিএসসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, এক বছরের ভেতরে ফলাফল প্রকাশ করতে পারলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ইত্যাদি ক্যাডারে পদ খালি থাকলেও তাতে বড় সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এর চেয়ে বড় সমস্যা সৃষ্টি হয় চূড়ান্ত যোগদানে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে। এতে দীর্ঘদিন মন্ত্রণালয়, মাঠপর্যায়ে জনবলসংকট বিরাজ করে। বরং এক বছরের রোডম্যাপ বাস্তবায়িত হলে এক বিসিএসে কোনো ক্যাডার পদে নিয়োগ আশানুরূপ না হলেও সে সংকট কাটাতে সর্বোচ্চ পরবর্তী ২ বিসিএস, অর্থাৎ দুই বছর সময় প্রয়োজন হবে। সর্বোপরি দীর্ঘ মেয়াদে এটি লাভজনকই বটে।
পিএসসি ইতিমধ্যেই তার রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ইতিবাচক সূচনা করেছে। সর্বশেষ ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফলাফল ৯ দিনের মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষাও দুই মাস পরই শুরু করবে বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরাও এই ইতিবাচক পরিবর্তন ও নতুনত্বকে স্বাগত জানাই।

লেখক: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিএস পরীক্ষার্থী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৭তম বিসিএস প্রিলিতে কম উত্তীর্ণে কী বার্তা দিল পিএসসি