মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটি থেকে বহু উড়োজাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহা থেকে কিছুটা বাইরে অবস্থিত এই সামরিক ঘাঁটি।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস একটি সতর্কতা জারি করেছে। এতে তাদের কর্মীদের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। খবর আল জাজিরার

বুধবার প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসির তোলা একটি স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, ঘাঁটির টারমাকে (উড্ডয়ন ও অবতরণ এলাকা) যেসব যুদ্ধবিমান, পরিবহন উড়োজাহাজ ও ড্রোন সাধারণত পার্ক করা থাকে, সেগুলোর বেশিরভাগই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাধারণত এই ঘাঁটিতে একাধিক সি-১৭ পরিবহন বিমান, এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ও গোয়েন্দা ড্রোন দেখা যায়।

তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। এর আগে বাহরাইনে ৫ম নৌবহরের ঘাঁটি থেকেও একই ধরনের উড়োজাহাজ ও নৌ-জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, বিমান ও জাহাজ স্থানান্তর মার্কিন বাহিনীকে রক্ষা করার পরিকল্পনার অংশ। তবে কতগুলো বিমান বা জাহাজ স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং কোথায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে, তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি সামরিক কৌশল- যার মাধ্যমে যুদ্ধ বা হামলার ঝুঁকি থাকলে সামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

বুধবার (১৮ জুন) হোয়াইট হাউজের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে যোগদানের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, আমি এটা করতে পারি, নাও করতে পারি। কেউ জানে না, আমি কী করতে যাচ্ছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

নরসিংদীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ ‍উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, দেখা দিচ্ছে শয্যা সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার মশা নিধনে ড্রেনগুলো দ্রুত পরিষ্কারের জন্য পৌরসভার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম তিনদিনে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিনই জ্বর, শরীর ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আসছেন রোগীরা। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদেরকেই ভর্তি করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

বাঁশবাগানে পাওয়া সেই নবজাতক মারা গেছে

রোগীর স্বজন নাসরিন আক্তার বলেন, “আমার ভাই পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি তার ডেঙ্গু হয়েছে। এখন প্লাটিলেট কমে গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অবস্থা গুরুতর। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য করছেন, শয্যার সংকট আর ওষুধের জোগান সবসময় মেলে না।”

আরেক রোগীর বাবা মো. সাহেব আলী বলেন, “আমার ছোট ছেলের বয়স ১০ বছর। জ্বর নিয়ে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাকে। ওর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ, ছেলেকে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সমর্থ্য নেই।”

হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ এক রোগীর চাচা মাহবুব হোসেন বলেন, “হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। ডেঙ্গু যে এত ভয়াবহ হবে বুঝতে পারিনি। প্রশাসন যদি আগে ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন অবস্থা হতো না।”

স্থানীয় কলেজছাত্র জুবায়ের হোসেন বলেন, “জুলাইয়ের শেষ দিক থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, অথচ পৌরসভা থেকে মশা নিধনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি অনেকদিন। আমরা খুব চিন্তায় আছি। শুধু ওষুধ আর হাসপাতাল দিয়ে এই রোগ ঠেকানো যাবে না। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন কারণে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে। প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসছেন জ্বর নিয়ে। অনেকেরই অবস্থা গুরুতর। সীমিত সামর্থ্যে আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সেবা দিতে। রোগীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।”

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ