ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
Published: 19th, June 2025 GMT
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার দক্ষিণ সাথালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম রিংকন (২১), বগুড়ার সদর উপজেলার গোকুল উত্তরপাড়ার মুশফিকুর রহমান এবং বগুড়ার সোনাতলার সোয়াইব (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন যুবক একটি মোটরসাইকেলে করে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীতদিক থেকে আসা নওগাঁগামী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২২-৯০১৯) তাদের মোটরসাইকেলে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিন আরোহীই সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়। খবর পেয়ে আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: হেলপার গ্রেপ্তার
শেরপুরে বাসচাপায় যুবক নিহত, বিক্ষুব্ধ জনতার অগ্নিসংযোগ
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। নিহতদের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/এনাম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন আদমদ ঘ
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে প্রবাসীকে অজ্ঞান করে টাকা-মুঠোফোন লুট, লাগেজ নিতে গিয়ে পড়লেন ধরা
দুবাইপ্রবাসী এ আর হোসেন ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পাশে বসা যাত্রী তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করেন। একপর্যায়ে জুস খাওয়ার অনুরোধ করেন। সরল মনে কোনো সন্দেহ না করে ওই জুস পান করেন হোসেন। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁর মানিবাগ, মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার চুরি করে নেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নওগাঁগামী একতা পরিবহনের বাসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী এ আর হোসেনের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামে। দুবাই থেকে ঢাকায় নেমে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাসে তাঁর পাশের আসনের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টির সদস্য আরমান হোসেন। তাঁর বাড়ি নরসিংদী জেলায়। পুলিশ আরমানকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ আর হোসেন দুবাই থেকে গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছান। বেলা ১১টার দিকে তিনি গ্রামের বাড়ি আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে উত্তরা থেকে একতা পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসে পাশের আসনে বসা যাত্রী আরমান হোসেনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। একপর্যায়ে বগুড়ার শেরপুরের আগে আরমান বোতল বের করে তাঁকে জুস খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই জুস খাওয়ার পর হোসেন অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এ আর হোসেন বলেন, ‘আমার নামার কথা ছিল বগুড়া-নওগাঁ সড়কের চৌমুহনী মোড়ে। কিন্তু অচেতন হয়ে থাকায় বাসের সর্বশেষ গন্তব্যস্থল নওগাঁ বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি। এখানে আসার পর পাশে বসা ওই যাত্রী ও বাসের সুপারভাইজার আমাকে বাস থেকে নামান এবং মুখ-চোখে পানি দেন। চেতনা ফেরার পরই আমি পাশের সিটের যাত্রীকে ধরে ফেলি। পরে অন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় তাঁর কাছ থেকে আমার চুরি হওয়া টাকা, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাসের লকারে থাকা আমার ব্যাগ নেওয়ার। ওই ব্যাগে আরও কিছু মূল্যবান জিনিস ছিল।’
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্য সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।