বাংলা ভাষার জনপ্রিয় সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায় মারা গেলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে কলকাতার একটি হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন প্রফুল্ল রায়। তবে গত কয়েক মাসে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি ক্রমেই সংকটজনক হয়ে উঠলে তাঁকে কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল।

স্বাধীনতাপূর্ব অবিভক্ত বাংলার ঢাকায় ১৯৩৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্ম প্রফুল্ল রায়ের। ঢাকায় কেটেছে শৈশব। দেশভাগের পর ১৯৫০ সালে চলে আসেন ভারতে। দেশভাগের যন্ত্রণা, উদ্বাস্তুদের কথা তাঁর লেখায় মূর্ত হয়ে উঠেছিল। দেশভাগ থেকে স্বাধীনতাসংগ্রাম, সাক্ষী থেকেছেন অনেক ঘটনার। লেখায় সেসব প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বারবার ফুটে উঠেছে।

‘কেয়াপাতার নৌকো’র স্রষ্টা প্রফুল্ল রায়ের বাংলা সাহিত্যে অবদান অনস্বীকার্য। ‘কেয়াপাতার নৌকো’ ছাড়াও ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’, ‘নোনা জল মিঠে মাটি’র মতো উপন্যাস লিখেছেন তিনি। পরবর্তীকালে তাঁর ‘কেয়াপাতার নৌকো’র কাহিনি অবলম্বন করে নির্মিত বাংলা ধারাবাহিক বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। তাঁর গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘বাঘ বন্দী খেলা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন উত্তম কুমার। ‘আকাশের নিচে মানুষ’ উপন্যাসের জন্য তিনি পেয়েছিলেন বঙ্কিম পুরস্কার। পেয়েছিলেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারও। এ ছাড়া দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে অসংখ্য ছোটগল্প লিখেছেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের

আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার জন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দাবি জানিয়েছে নাগরিক কোয়ালিশন। শনিবার কোয়ালিশনের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম নাগরিক কোয়ালিশন। বিবৃতিতে এই কোয়ালিশন বলেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত সম্মেলনে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য ও হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেশের কিছু বড় ও মূলধারার রাজনৈতিক দল আসন্ন নির্বাচনে ভোটের প্রতিযোগিতায় তুষ্টিবাদী রাজনীতির অংশ হিসেবে আহমদিয়াদের প্রতি বিষোদ্‌গার করছে। এটি খুবই আশঙ্কাজনক ব্যাপার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অনুরোধ করছি, এই সংকটকালে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনকে অস্থিতিশীল করতে পারে এমন যেকোনো গোষ্ঠীর ব্যাপারে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে; বিশেষ করে যারা ধর্মকে অবলম্বন করে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।’

দেশের অন্য যেকোনো নাগরিকের মতোই সংবিধানে আহমদিয়াদের ধর্ম পালনের অধিকার সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত রয়েছে বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য এই অধিকার রক্ষায় আমরা অবিচল থাকব।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো শ্রেণি, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিসত্তা এবং ধর্মীয় পরিচয়–নির্বিশেষে সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা বিষয়ে সরব থাকা। আমরা বিশ্বাস করি, এই মৌলিক সাম্যই হতে হবে জুলাই ২০২৪–পরবর্তী বাংলাদেশের ভিত্তিপ্রস্তর।’

আরও পড়ুনখতমে নবুওয়তের মহাসম্মেলন থেকে ১ দফা দাবিতে বছরজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের