চট্টগ্রামে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকে আটকের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও
Published: 20th, June 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতাকে আটকের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা ঘেরাও করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় নগরের চান্দগাঁও থানা ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করেন দলের শতাধিক নেতা-কর্মী। দুপুর সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁরা থানা প্রাঙ্গণে অবস্থান করে স্লোগান দিচ্ছেন।
দলটি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় চাঁদাবাজির একটি মামলায় দলের চান্দগাঁও থানার সেক্রেটারি হাবিবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে থানায় অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের দাবি, মিথ্যা মামলায় তাঁদের নেতাকে আটক করা হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন। এরপর সেখানে চাঁদাবাজি হয়নি। তবে এতে ক্ষিপ্ত হন চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। তাঁরা হাবিবুর রহমানকে জড়িয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনেন।
ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম নগরের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে গঠিত একটি কমিটিতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হাবিবুর রহমানের নাম জড়ানো হয়। সেটিকে কেন্দ্র করে মামলা করেন একজন। সে মামলায় আটক কয়েকজনের ব্যাপারে গতকাল কথা বলতে এলে হাবিবুরকে আটক করে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, থানা প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবি, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া হাবিবুরকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হাবিবুর রহমানকে আদালতে চালান দিতে দেবেন না বলে জানান। এ সময় থানা ফটকের ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা ঢুকতে দেননি। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও পরে আসতে বলেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন করা হয়। তবে কেউ ফোন ধরেননি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ব ব র রহম ন ইসল ম নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
সরাসরি: ইরানের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশে ইরাকে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সাদর সিটিকে শুক্রবার (১৭ জুন) জুমার নামাজের পর হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে। ইরানের ওপর চলমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে তারা। অনলাইনে পোস্ট করা ফুটেজে এমনটাই দেখা গেছে।
সাদর সিটিকে ‘বিপ্লবের নগরী’ নামেও ডাকা হয। এটি মূলত বাগদাদের একটি উপশহর। এই এলাকার জনসংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি, যার বেশিরভাগই শিয়া মুসলিম।
এলাকাটি শিয়া জনপ্রিয় ধর্মীয় ও মিলিশিয়া নেতা মোকতাদা আল-সাদরের নামেই পরিচিত, যিনি ইরানের শাসক ধর্মীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
আরো পড়ুন:
যত দ্রুত সম্ভব ট্রাম্পকে যুদ্ধে নামাতে চান নেতানিয়াহু: লেভি
যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি ১৪ বিমান ভরে সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে ইসরায়েলকে
এই জমায়েত ইঙ্গিত দেয় যে, ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলাগুলোর প্রতিবাদ শুধু ইরানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা আঞ্চলিক মাত্রা লাভ করেছে, বিশেষ করে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোতে।
১৩ জুন ভোরে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর পাল্টা হামলায় নামে ইরান। উভয় দেশ হামলা ও পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে বলে অভিযোগ তুলে দেশটিতে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। অথচ আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা বলছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর কাছাকাছি পৌঁছানোর কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। অথচ এই অভিযোগে ইরানের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার আছে বলে অভিযোগে ২০০৩ সালে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অথচ তেমন কোনো অস্ত্রই ছিল ইরাকে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল ইরাক মডেলে ইরানে হামলা চালাচ্ছে, যার কোনো ভিত্তিই নেই।
ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে বহু শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক শহীদ হন।
ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২০ জুন পর্যন্ত “ট্রু প্রমিজ থ্রি” (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ১৬ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ঢাকা/রাসেল