ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি এইচএসসি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে
Published: 17th, August 2025 GMT
ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইচএসসি বা সমমান, স্নাতক (সম্মান) বা সমমান ও স্নাতকোত্তর বা সমমান শ্রেণিতে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করবে। এ জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্থায়ী অধিবাসী ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বৃত্তির জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদনের যোগ্য১.
২. এইচএসসি বা সমমান পাস: পরীক্ষার বছর ২০২৩ ও ২০২৪, ন্যূনতম জিপিএ–৪.৫০।
৩. স্নাতক (সম্মান) বা সমমান: পরীক্ষার বছর ২০২২ ও ২০২৩, ন্যূনতম সিজিপিএ–৩.৫০।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার ভিসা: ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার পরিবর্তন, পাঁচটির বদলে ৯ পরীক্ষার ফল গ্রহণ ১ ঘণ্টা আগেআবেদনের প্রক্রিয়া১. বৃত্তি পেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরম সমিতির ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
২. শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে সমিতির ঠিকানায় ডাকযোগে অথবা ই–মেইলে [email protected] পাঠাতে হবে।
আরও পড়ুনহেলথ টেকনোলজি ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স, ভর্তির সুযোগ ৩০৪৩টি আসনে১৫ আগস্ট ২০২৫আবেদনের শেষ তারিখ ও ঠিকানা১. আবেদনের শেষ তারিখ: ২১ আগস্ট ২০২৫।
২. ডাকযোগে ঠিকানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, মাহবুব প্লাজা, ষষ্ঠ তলা, ২১/এ তোপখানা রোড, ঢাকা।
আরও পড়ুনজুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বদলে যেতে পারে শিক্ষার্থীর জীবন১২ আগস্ট ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড পর ক ষ র সমম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে হামলা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদের নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসী হামলা, ভোট জালিয়াতি, মারধর, হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা এজাহার অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় নীল প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকেরা জানতে পারেন, আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা গোপনে ব্যালটে সিল মারছেন। প্রতিবাদ করতে গেলে কয়েকজন আইনজীবী মারধরের শিকার হন। পরদিন ১৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সমিতির অডিটরিয়ামে প্রায় ৪০-৫০ জন আইনজীবী ও শতাধিক পুলিশ সদস্য জোরপূর্বক প্রবেশ করে বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী ও ভোটারদের ওপর হামলা চালান।
এ সময় মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মাহদিন চৌধুরীসহ বহু প্রার্থী ও সদস্য গুরুতর আহত হন। নারী আইনজীবীদেরও মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। রাইফেলের বাঁট, লাঠি ও বুটের আঘাতে কয়েকজন আইনজীবী রক্তাক্ত জখম হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আইনজীবী রাসেল আহম্মেদ, ইব্রাহিম খলিল, সালাউদ্দিন রিগানসহ প্রায় তিন শতাধিক আইনজীবীকে লাঠি, রাইফেলের বাঁট ও বুটের আঘাতে আহত করা হয়। এ ছাড়া ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর, কাচ ভেঙে ফেলা, পুলিশের প্রবেশে সহযোগিতা, সাংবাদিকদের ওপর হামলারও অভিযোগ রয়েছে। আজকের পত্রিকা, জাগো নিউজ, মানবজমিন, এটিএন বাংলা, সময় টিভি, ডিবিসি নিউজ ও বৈশাখী টিভির অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন।
বাদীর দাবি, তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়। নির্বাচনের দ্বিতীয় দিন ১৬ মার্চও ভয়ভীতি ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। অবশেষে রাতে জাল ব্যালটের মাধ্যমে ১৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।