বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সাধারণ সদস্যরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত প্রশাসককে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, সাত কার্যদিবসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে কর্মবিরতিও হবে।

সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। 

সদস্যদের অভিযোগ, প্রশাসক নিয়োগের ৭০ দিন পার হলেও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়নি এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ সময় তিনি বিদেশে ছিলেন। এছাড়া, গ্রস ইনভয়েসে অগ্রিম আয়কর (১.

৫০%), ১% টার্নওভার ট্যাক্স, চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ ও হ্যান্ডলিং চার্জ বৃদ্ধি এবং আইজি/ইজিএম জটিলতা—এগুলোতে প্রশাসকের পদক্ষেপ সংগঠনের কার্যক্রম ব্যাহত করছে।

সদস্যরা আরো দাবি করেছেন, ২০২২ সালের বাণিজ্য সংগঠন আইন লঙ্ঘনের কারণে পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্তির আগে লিখিত নোটিশ প্রদান ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাফার সাবেক সভাপতি কবির আহমেদ, সাধারণ সদস্য বেলায়েত, কামাল আহমেদ, আজিজুর রহমান মজুমদার, নুরুদ্দীন, জন এন মন্ডল, সাইফুল আলম প্রমুখ।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

১৭৩০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হলো ৫১৯০ টাকায়

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে নাসির মাঝি (৩৫) নামে জেলের জালে ধরা পড়েছে ১ কেজি ৭৩০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ। রবিবার (১৭ আগস্ট) ভোরে বঙ্গোপসাগরের চর বিজয় সংলগ্ন এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুয়াকাটা মৎস্য মার্কেটে মাছটি আনা হয়। নিলামের মাধ্যমে রাসেল ফিসের স্বত্ত্বাধিকারী রাসেল মিয়া ৩ হাজার টাকা কেজি দরে ৫ হাজার ১৯০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।

জেলে নাসির মাঝি বলেন, “গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ইঞ্জিনচালিত ডিঙ্গি ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাই। রাতে চর বিজয় সংলগ্ন এলাকায় জাল ফেলি। সকালে জাল টানার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে ইলিশটিও উঠে আসে।”

আরো পড়ুন:

মারা যাচ্ছে বাগদা চিংড়ি, দিশেহারা বাগেরহাটের চাষিরা

সাগরে ভাসছিল ২২ কেজির কোরাল, ধরা পড়ল জালে  

তিনি আরো বলেন, “এতো বড় সাইজের ইলিশ সচরাচর ধরা পড়ে না। আমার জালে বড় ইলিশটি ধরা পড়ায় শুকরিয়া আদায় করেছি। দামও ভালো পেয়েছি।”

রাসেল ফিসের স্বত্ত্বাধিকারী রাসেল মিয়া বলেন, “সব সময় বড় ইলিশ মেলে না। আজ বাজারে আসা সবেচেয়ে বড় ইলিশ ছিল এটি। এ কারণে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে মাছটি কিনে নিয়েছি। এটি বিক্রির জন্য উত্তরাচঞ্চলের দিকে পাঠাতে পারি। এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।”

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “এখন অনেক জেলেই ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় সাইজের মাছ পাচ্ছেন। বৃষ্টির কারণে গভীর সমুদ্রের মাছ তীরের দিকে চলে আসছে। আসা করছি, সব জেলেরাই মাছ পাবেন।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ