গাজীপুরে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ঝুট গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ
Published: 17th, August 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর হায়দারাবাদ এলাকায় ঝুটের গুদামে লাগা আগুন সাড়ে তিন ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) ভোর চারটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে চারটি গুদাম ও গুদামের ভেতরে থাকা বিপুল পরিমাণ মালামাল পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ১২টার দিকে হায়দাবারাদ এলাকার ঝুট ব্যবসায়ী কাইয়ুমের গুদামে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে আগুন পাশের মিজান ও আব্দুল আজিজের গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ও জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটিসহ মোট পাঁচটি ইউনিট একযোগে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, “আগুন যেন পাশের বাসা-বাড়ি এবং অন্যান্য গুদামে ছড়িয়ে না পড়ে সেটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কাজ করা হয়। তবে গুদামের ভেতর ফেব্রিক্সসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যনন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।”
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রীবেশে উঠে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা, চালককে গলা কেটে খুন
ফেনীর সোনাগাজীতে গলা কেটে এক অটোরিকশাচালককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের পশ্চিম চরদরবেশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মনোরঞ্জন ভূঞা (৬৫)। তিনি চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞা বাজার-সংলগ্ন কলাবাগান এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
পুলিশ ও নিহত মনোরঞ্জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত ৯টার দিকে সোনাগাজী পৌর শহর থেকে ছোট ফেনী নদীর সাহেবের ঘাট সেতুর ওপর যাওয়ার কথা বলে কয়েকজন যুবক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়া করেন। অটোরিকশা সাহেবের ঘাট সেতু পার হলে রিকশায় থাকা যুবকেরা গাড়ি থামিয়ে চালককে মারধর করে গাড়িটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এতে চালক মনোরঞ্জন ছিনতাইকারীদের বাধা দিলে তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে খালের পাশে গাড়িসহ ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা।
রাতে স্থানীয় লোকজন খালের পাশে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী মহিন উদ্দিন বলেন, মনোরঞ্জন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সপ্তাহখানেক আগে কিস্তিতে নতুন একটি অটোরিকশা কেনেন। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন অটোরিকশাটি ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মরদেহটি ফেনীর সোনাগাজী-কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তের খালের মধ্যে পাওয়া যাওয়ায় দুই থানার পুলিশ যৌথভাবে ঘটনাস্থলে কাজ করছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।