থানা ঘেরাওয়ের পর চাঁদাবাজির মামলায় আটক ইসলামী আন্দোলনের এক নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে নগরীর চান্দগাঁও থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় দলটির এই থানা শাখার সেক্রেটারি হাবিবুর রহমানকে। এর পর থানা থেকে সরে যান বিক্ষোভকারী নেতাকর্মীরা। নগরীর কাপ্তাই রাস্তা এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে এক মামলায় গতকাল সকালে তাঁকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি জানার পরই থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন নেতাকর্মীরা।

কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেন মো.

শিপন নামে এক ব্যক্তি। এতে হাবিবুরকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়। মামলা হওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুল করিমের নেতৃত্বে অন্য পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ায় সাধারণ ডায়েরি করতে গতকাল থানায় যান হাবিবুর। এ সময় সোর্সের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, মামলার আসামি থানায় অবস্থান করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাঁকে আটক রাখে। এর পর দলটির বেশ কিছু নেতাকর্মী 
থানায় গিয়ে জানান, হাবিবুরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। তারা তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে |পুলিশ মামলার সাক্ষীদের থানায় ডেকে নেন এবং হাবিবুরকে চেনেন কিনা জানতে চান। তারা 

চেনেন না বলে জানালে পুলিশ ইসলামী আন্দোলনের নেতা নুরুল আলমের জিম্মায় ছেড়ে দেন হাবিবুরকে। 
ইসলামী যুব আন্দোলনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান সমকালকে বলেন, হাবিবুর রহমান চাঁদাবাজি বন্ধ করতে চাইলে চাঁদাবাজ চক্র তাঁকে ফাঁসিয়ে দিতে মিথ্যা মামলা করেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজনের বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে থানায় গেলে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। 

ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, মামলার বাদী ও সাক্ষীদের থানায় ডাকা হয়েছিল। সাক্ষীরা বলেছেন, হাবিবুরকে তারা চেনেন না। তখন সবকিছু বিবেচনা করে তাঁকে এক নেতার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী সমকালকে বলেন, কারও বিরুদ্ধে মামলা হলে সেই ব্যক্তি অপরাধী নাকি নির্দোষ, সেটি আদালতেই প্রমাণ হবে। থানা ঘেরাও করে হাবিবুরকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের ছেড়ে দেওয়া আইনসংগত হয়নি। এখন অন্য আসামিরা এর সুযোগ নেবেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এমন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়ে থাকলে সেই বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ব ব রক ন ত কর ম কর ম র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো পড়ুন:

টানা বৃষ্টিতে সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড, ঘনীভূত হতে পারে লঘুচাপ 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে স্থল গভীর নিম্নচাপটি উপকূলীয় ওড়িশা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে আজ দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

এদিকে, আজ ভোর ৬টার দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায়। ঢাকার আকাশ মেঘে ঢেকে আছে। 

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ