নতুন সংস্করণে অ্যান্ড্রয়েড উন্মাদনা
Published: 21st, June 2025 GMT
দিন কয়েক আগে অ্যাপল তাদের সর্বশেষ উদ্ভাবিত আইওএস ২৬ বেটা সংস্করণ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, অ্যান্ড্রয়েড ১৬ নিয়ে নতুন উন্মাদনা ছড়িয়েছে গুগল। স্মার্টফোনের স্ক্রিনে যেন দুই নির্মাতার শেয়ানে শেয়ানে লড়াই জমেছে। গবেষকরা বলছেন, ২০২৫ সালে স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম হয়ে উঠবে আরও উপভোগ্য ও দুর্দান্ত।
ইতিহাস বলছে, প্রতিবছর গুগল আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ প্রকাশ করে। তবে গত মে মাসে গুগল নিশ্চিত করে বলেছিল, জুনের মধ্যেই নতুন সংস্করণ আত্মপ্রকাশ করবে। ঘটেছেও ঠিক তাই। গুগল পিক্সেল মডেলযোগ্য অ্যান্ড্রয়েড ১৬ সংস্করণ উন্মুক্ত করেছে। সব ধরনের ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ পৌঁছাতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষায় থাকতে হবে। আগামী কয়েক মাস গুগল বিস্তৃতি আপডেট নিয়ে কাজের পরিকল্পনার কথা বলেছে।
ইতোমধ্যে ১৬ সংস্করণ নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে। জানুয়ারি মাসে প্রথম পাবলিক বেটা সংস্করণ চালু করা হয়। ফলে অ্যান্ড্রয়েড ভক্তরা নতুন পরিবর্তনের বিষয়ে আগাম প্রাথমিক ধারণা পেয়েছেন। অনেকে ইতোমধ্যে বেটা সংস্করণের কিছু ফিচার আর সুবিধা উপভোগ করেছেন। তবে নতুন অনেক বৈশিষ্ট্যই সামনে যুক্ত হবে। ১৬ সংস্করণের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আর নতুন বৈশিষ্ট্য হলো ‘লাইভ আপডেট’ সুবিধা, যা মূলত অ্যাপল লাইভ আদলের গুগল সংস্করণ হিসেবে সামনে আসছে। অ্যাপ ডেভেলপারদের লাইভ প্রোগ্রেস বার উন্নয়নে সুযোগ করে দেয়, যা উবার ট্রিপ এবং খাবার সরবরাহের মতো সময়-সংবেদনশীল কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করে তাৎক্ষণিক বার্তা স্ক্রিনে দৃশ্যমান করবে। যদিও লাইভ আপডেট এখনও পূর্ণরূপে প্রকাশ হয়নি। চলতি সপ্তাহে অ্যান্ড্রয়েড ১৬ প্রকাশে ডেভেলপারদের সহায়তা ও কাস্টমাইজ সুবিধা দেবে। অপারেটিং সিস্টেমে পরবর্তী আপডেট না আসা অবধি গ্রাহকবান্ধব উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেবে না বা সব সময় অন-ডিসপ্লেতে তা দৃশ্যমান হবে না।
সুনির্দিষ্ট একক অ্যাপ থেকে সব ধরনের বিজ্ঞপ্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একসঙ্গে গোষ্ঠীভুক্ত হবে, যা গ্রাহকের ফোনের ডিসপ্লেকে বিশেষভাবে সুসংগঠিত করবে। অর্থাৎ কিছুক্ষণের জন্য ফোন নিচে রাখার পরে তথ্য ও সতর্কতার তুষারপাতের সঙ্গে আপনার প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ঠিক অ্যাপলের মতো গুগল উন্নয়ক দল সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেমের নান্দনিকতার ওপর জোর দেয়। অ্যান্ড্রয়েড ১৬ সংস্করণ তার পরিকল্পিত ম্যাটেরিয়াল থ্রি এক্সপ্রেসিভ আপডেট নিয়ে কাজ করছে। কিছুদিনের মধ্যেই গুগল তার উন্নয়নকৃত অপারেটিং সিস্টেমে (ওএস) আপডেট অ্যাপ গ্রাহকের জন্য সম্পূর্ণ স্ক্রিন ডিজাইনে এজ-টু-এজ শর্ত পূরণ করতে হবে। তখন স্ক্রিনের আকার ও আকৃতির অনুপাতের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানিয়ে নেবে। আগে ডেভেলপাররা এজ-টু-এজ যাওয়ার বিকল্প অপ্ট আউট করতে পারত। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ১৬ সংস্করণে তা নিজে থেকেই মানানসই হয়ে যাবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।
পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।
কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগেপরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে