Risingbd:
2025-11-17@11:03:19 GMT

তারকাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

Published: 22nd, June 2025 GMT

তারকাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর ফাঁকির অভিযোগে শোবিজ অঙ্গনের একাধিক তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। এই তালিকায় রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী, চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ, নবাগত প্রজন্মের জনপ্রিয় মুখ নুসরাত ফারিয়া ও অভিনেত্রী সাবিলা নূরসহ অনেকে।

গত ১৫ জুন কর অঞ্চল-১২ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে মোট ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ব্যাংক হিসাব জব্দের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সেই তালিকায় শোবিজ অঙ্গনের আরো যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন— নুসরাত ইমরোজ তিশা ও আহমেদ শরীফ।

এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, সময়মতো কর পরিশোধ না করায় এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর কর্মকর্তা বলেন, “বেশ কয়েকজন কর পরিশোধ করেছেন, কেউ কেউ সময় নিয়েছেন। কর পরিষদের পর স্বাভাবিক নিয়মেই ব্যাংক হিসাব চালু হয়ে যাবে।”

আরো পড়ুন:

চাবুক খেতে খেতেই মৌসুমীর সঙ্গে প্রেম: ওমর সানী

জন্মদিনে নেই উৎসব, মায়ের শোকে বিষণ্ন ওমর সানী

তবে আলোচিত এ ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট তারকাদের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও নুসরাত ফারিয়ার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিনেত্রী মৌসুমী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ