আইয়ুব বাচ্চু ডাকতেন ‘চকলেট বয়’, সেই সাইমন এখন কীবোর্ড যাদুকর
Published: 22nd, June 2025 GMT
দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের সঙ্গে মিশে আছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ছেলে সমাইদুল ইসলাম সাইমনের নাম। কারণ আগ্রাবাদের সরল জীবন থেকে শুরু হয়ে আজ শিরোনামহীনের কীবোর্ডে ঝড় তুলেন তিনি।
সাইমনের সঙ্গে কথা বলে খুব দ্রুত বোঝা যায়, তার নিজস্ব এক রকম ধৈর্য আর পরিশ্রমের গল্প আছে, যা তাকে আজকের উচ্চতায় নিয়ে এসেছে। ভাইয়ের ডিভিডিতে দেখা এক পিয়ানোবাদকের অর্কেস্ট্রার ভিডিওই তাকে কীবোর্ড শেখার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। গিটার শেখার আগ্রহ ছিল বন্ধুদের দেখে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিয়ানোতেই পাগল হয়ে গেল সে।
নিজেকে ‘সেল্ফ টচট মিউজিশিয়ান’ বলতে ভালোবাসেন সাইমন। তার ভাষ্য, ‘আমি কখনো কোনো গুরুর কাছে গিয়ে সিগন্যাল পাইনি, নিজেরাই চেষ্টা করে শিখেছি।’
কলেজ জীবনে প্রথম বন্ধুদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করেন সাইমন। ২০১৩ সালে যোগ দেন চট্টগ্রামের ব্যান্ড মেট্রিক্যালের কীবোর্ডিস্ট হিসেবে। ২০১৫ সালে ‘ফিরে এসো’ গানটির সুর রচনা করে ব্যান্ডের জনপ্রিয়তাও বাড়িয়ে দিলেন। এরপর ‘গণতন্ত্রের ঘুড়ি’, ‘অনুভূতি যত’সহ আরও বেশ কিছু গানের সুর রচনা তারই প্রতিভার সাক্ষ্য।
বাংলাদেশের রক লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য পেয়ে তিনি আজও কৃতজ্ঞ। সাইমন জানান বাচ্চু ভাই আমাকে ‘চকলেট বয়’ ডাকতেন, তার সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করে বাজানো ছিল জীবনের বড় পাওয়া,”
২০১৮ সালের শেষে যুক্ত হন শিরোনামহীনের সঙ্গে। ২০১৯ সালে ‘এই অবেলায়’ গান দিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা শিরোনামহীনের কীবোর্ডে। ‘ক্যাফেটেরিয়া পেরিয়ে’, ‘কাশফুলের শহর দেখা’, ‘পারফিউম’-এসব গানেই তার সুরের ছোঁয়া স্পষ্ট।
শিরোনামহীনের ‘পারফিউম’, ‘দি অনলি হেডলাইনার’, ‘বাতিঘর’ অ্যালবামে কাজ করেছেন সাইমন। ‘বাতিঘর’ অ্যালবামের ‘মা’ গানের সুর রচনা তার কাছে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। যে গান যাইগা করে নিয়েছে লাখো ভক্তের মনে।
সাইমন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে যাদের গান শুনে বড় হয়েছি, আজ তাদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করতে পারছি—এই ভাবনাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় খুশি। শিরোনামহীন মানেই নতুন কিছু, অন্যরকম কিছু। আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ পছন্দ করি, স্বপ্ন দেখি একদিন লন্ডনের রয়েল আলবার্ট হলে শিরোনামহীনের সঙ্গে পারফর্ম করব।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ইমন
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
রাজধানীর মিরপুরের পূর্ব কাজীপাড়া এলাকায় আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে আলিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, আলিফ পরিবহনের বাসটি পূর্ব কাজীপাড়ায় পৌঁছালে একদল ব্যক্তি হাতের ইশারায় সেটি থামায়। এ সময় তারা বাসটিতে উঠে চালক ও তাঁর সহকারীকে পিটিয়ে নামিয়ে দেন। যাত্রীরাও বাস থেকে দ্রুত নেমে যান।
এ সময় দুর্বৃত্তরা বাসের সামনের কাচে একাধিক গুলি ছুড়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাশেদ বিন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে মিরপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে পৌনে আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসটি পুড়ে গেছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, বাস কোম্পানির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ওই পরিবহনের কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাঁদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কাউকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।