‘জুলাইয়ের স্বীকৃতি না পেলে আমরা জুলাই যোদ্ধারা কেউই নিরাপদ নই। ভবিষ্যতে যেন জুলাই বিপ্লবকে “মবোক্রেসি” (বিশৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ কাজ) হিসেবে আখ্যায়িত করা না হয়, সে লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই স্বীকৃতি আদায় করতে হবে। এ মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো.

রইছ উদ্‌দীন।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) আয়োজনে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীন আরও বলেন, ‘জুলাইয়ের স্বীকৃতি না পেলে আমরা জুলাই যোদ্ধারা কেউই নিরাপদ নই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নিবেদিত সব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মধ্যে যেন কোনো প্রকার বিভাজনের সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, সব দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া, পঙ্গুত্ব বরণ করা কিংবা আহত হওয়া ব্যক্তিদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে তাঁদের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন জুলাই বিপ্লবকে ‘মবোক্রেসি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা না হয়, সে লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই স্বীকৃতি আদায় করতে হবে।

অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীন আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের উত্থানের মূল কারণ বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরি। অবৈধ নির্বাচনের হোতা ও বিচারব্যবস্থা ধ্বংসকারীরাই ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে যেন পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, সে বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। এ জন্য একটি জবাবদিহিমূলক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আর কেউ ফ্যাসিবাদী শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ সাবিনা শরমীন বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ছাত্র সংগঠনের সমন্বিত সহাবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের স্বতন্ত্র মিশন, ভিশন ও দিকনির্দেশনা বিদ্যমান; তাঁরা স্বীয় চিন্তাচেতনা ও যৌক্তিক পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করে থাকেন।

সাবিনা শরমীন আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন, প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুল হক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে লোডশেডিং পরিস্থিতি

গ্রিডের ত্রুটি মেরামত শেষে প্রায় দুই ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হতে শুরু করে লোডশেডিং পরিস্থিতি। 

রাজধানীর রামপুরায় অবস্থিত পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির (পিজিবিপি) একটি সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগের ফলে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে রাজধানীর একাংশ। রাত ১০টার দিকে এ গোলযোগের ঘটনা ঘটে।

রাত ১২টার দিকে পিজিবিপি কর্তৃপক্ষ এক বার্তায় জানিয়েছে, রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সৃষ্ট ত্রুটি মেরামত করে রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো ধাপে ধাপে সকল এলাকায় সংযোগ পুনঃস্থাপন করবে।

বিপিডিপির মুখপাত্র শামীম হাসান বলেন, রামপুরায় অবস্থিত পিজিসিবির একটি সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ হয়েছে। এর ফলে মূলত ডিপিডিসির আওতাধীন যেসব এলাকা রয়েছে, সেসব এফেক্টেড হয়েছে। ডেসকো খুব একটা এফেক্টেড হয়নি।

গ্রিডে ত্রুটির বিষয়ে এক বার্তায় পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আকষ্মিক কারিগরি ত্রুটির কারণে ঢাকার একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহে অনাকাঙ্ক্ষিত বিচ্যুতি হয়েছে। পাওয়ার গ্রিডের প্রকৌশলীরা দ্রুত সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ