শরীয়তপুরের ওএসডি হওয়া ডিসির বিষয়ে তদন্ত কমিটি
Published: 22nd, June 2025 GMT
আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শরীয়তপুরের সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের বিষয়ে এবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শনিবার তাঁকে শরীয়তপুর থেকে প্রত্যাহার করে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। এখন এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করল মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুনশরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এক নারীর ছবি ও ভিডিও নিয়ে আলোচনা২১ জুন ২০২৫ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির সদস্য হলেন জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো.
এদিকে ওএসডি হওয়া ডিসি আশরাফ উদ্দিন রোববার সকালে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন। জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কিংবা তাঁর বাংলোতে আসেননি। শরীয়তপুরের অন্য একটি স্থানে এসে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুননারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও, শরীয়তপুরের ডিসিকে ওএসডি২১ জুন ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধ করে ইসলামী ব্যাংক কর্মীদের বিক্ষোভ
ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি ও ওএসডি করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাংকের ভুক্তভোগী কর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ওয়াই জংশন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা রিভারভিউ কমিউনিটি সেন্টার থেকে মিছিল নিয়ে মহাসড়কে বসে পড়েন। এতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক এবং পিএবি সড়কের (পটিয়া, আনোয়ারা ও বাঁশখালীমুখী সড়ক) যান চলাচল প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকে। পরে কর্ণফুলী থানা–পুলিশের অনুরোধে তাঁরা সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রহসনমূলক দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। সে পরীক্ষা তাঁরা বর্জন করে আন্দোলনে নামেন। পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে গতকাল সোমবার ২০০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও ৪ হাজার ৯৫৩ জনকে ওএসডি করা হয়।
অভিযোগ করে ব্যাংক কর্মীরা বলেন, ‘এই জুলাই বিপ্লব তো চাকরি দেওয়ার কথা ছিল, চাকরি কেড়ে নেওয়ার কথা ছিল না।’ তাঁদের দাবি, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রহসনমূলক পরীক্ষা নেয় এবং এর পর থেকেই অন্যায় নিপীড়ন শুরু করে।
পরে আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাঁদের হুঁশিয়ারি, পূজার ছুটির মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামী রোববার থেকে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হবে।