বাংলাদেশে স্পার্ক গো-টু মডেলের স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। সীমিত বাজেটের মধ্যে এআই ফিচার, ডিজাইন ও ভালো পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতির কথা বলছে নির্মাতারা। রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি হোল স্ক্রিন এইচডি+ ডিসপ্লে, যা ভালো কনটেন্টের অভিজ্ঞতা দেবে। রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ প্রতিটি স্ক্রলকে স্মুথ করবে। প্রসেসর 
টি৭২৫০ সিরিজ ও সফটওয়্যার জাইরোস্কোপ। ফলে গ্রাহক ডিভাইস দিয়ে মাল্টিটাস্কিং আর গেমিং পরিষেবা পাবেন।
ব্যাটারি ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার। অডিও অভিজ্ঞতা দিতে ডিভাইসে থাকছে ডিটিএস সাউন্ড সিস্টেমের ডুয়েল স্পিকার। ছবির প্রয়োজন পূরণে রয়েছে ডুয়েল ফ্ল্যাশসহ ১৩ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা আর ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। স্মার্ট জীবনধারা নিশ্চিতে ইনফ্রারেড রিমোট কন্ট্রোল সাপোর্ট যুক্ত, যা দিয়ে স্মার্ট হোমের সব অ্যাপ্লায়েন্স ফোন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বাজেট ফোন হলেও এতে থাকছে হাই-অ্যান্ড এআই ফিচার। যার মধ্যে রয়েছে এআই-জিসি পোর্ট্রেট, ওয়ান ক্লিক সামারি, ডকুমেন্ট সামারি, এলা স্মার্ট সার্চ, ফটো বেজড প্রবলেম সলভিং, এআই রাইটিং, ইমেজ টু ডকুমেন্ট কনভার্সন ছাড়াও স্মার্ট এআই ফিচার। স্মার্ট সময়ের চাহিদা পূরণে এসব সুবিধা কাজ করবে।
রয়েছে সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, জিপিএস, ওয়াইফাই, বিটি, এফএম এবং ওটিজি সংযোগ সুবিধা। ডিভাইসে সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড ১৫ গো অপারেটিং সিস্টেম পাওয়া যাবে। ৬৪ জিবি স্টোরেজের সঙ্গে ৬ আর ৮ জিবি র‍্যামের
দুটি সংস্করণ থাকবে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে পাঁচ উপদেষ্টা, শিমুলিয়া ঘাটে হবে কনটেইনার পোর্ট

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর মালিকানাধীন ২৯ দশমিক ৩১ একর জমিতে ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫৬ কোটি টাকা।

গতকাল রোববার শিমুলিয়া এলাকায় ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার বন্দর নির্মাণে অর্থায়নের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদ্বারিত্বে পর্যটন যেটি হবে, তা উন্মুক্ত থাকবে। কেউ চাইলে বিনিয়োগ করতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করছি। তবে এটি কবে হবে বলা মুশকিল। বিআইডব্লিউটিএর সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসন এটি বাস্তবায়ন করবে।’
এর আগে দুপুরে ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে পাঁচ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা হয়। এতে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, পরিকল্পনায় রিভার মিউজিয়াম, নদীর পাড়ে ইকো রিসোর্ট, সুইমিং পুল, কিডস জোন, শিমুলিয়া ঘাটের পুরোনো ঐতিহ্য রক্ষায় নদীতীরে একটি ফেরিঘাট পুনস্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে।

পুরো এলাকা চারটি জোনে ভাগ করা হবে। এ-জোনে থাকবে মোংলা বন্দরের আদলে ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল ও বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব আইটি ভবন, বি-জোনে ট্রাক পার্কিং এরিয়া, সি-জোনে প্রশাসনিক অঞ্চল এবং ডি-জোনে ফেরিঘাটের জন্য বাস পার্কিং ছাড়াও থাকবে ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি, ওয়াকওয়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ