ইরানে মার্কিন হামলার সমর্থন অস্ট্রেলিয়ার, তীব্র নিন্দা উত্তর কোরিয়ার
Published: 23rd, June 2025 GMT
ইরানে মার্কিন হামলার সমর্থন জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। উত্তেজনা কমিয়ে ইরানকে কূটনীতির পথে ফেরার কথা বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। তবে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
সোমবার (২৩ জুন) আলজাজিরার খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব দীর্ঘদিন ধরে একমত যে, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না, এবং আমরা তা প্রতিরোধে নেওয়া পদক্ষেপকে সমর্থন করি।”
আরো পড়ুন:
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ‘ভয়াবহ’ ধ্বংস হয়েছে: ট্রাম্প
‘যে আলোচনার টেবিল ইরান কখনও ছাড়েনি, সেখানে কীভাবে ফিরবে?’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “তথ্য খুবই পরিষ্কার—ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে এবং এটি কেবল বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য নয়, বরং অন্য কিছু উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত দেয়।”
আলবানিজ আরো বলেন, “যদি ইরান আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাসহ বিভিন্ন পক্ষের যুক্তিসংগত অনুরোধ মেনে চলত, তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।”
এদিকে, ইরানে মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দ জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন”
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানে যে হামলা চালিয়েছে তা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা স্বার্থকে হিংস্রভাবে পদদলিত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের উস্কানিমূলক আচরণের বিরুদ্ধে একসাথে প্রতিবাদ ও প্রত্যাখ্যানের আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)