চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের  মোট ২১৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার দুপুর সোয়া ১২টায় নগরের নন্দনকানন থিয়েটার ইনস্টিটিউটে বাজেট ঘোষণা করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। মেয়র হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট।

নতুন অর্থবছরের বাজেটের পাশাপাশি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১২২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। ওই অর্থবছরে মোট ১৯৮১ কোটি ৫২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

বাজেট বক্তব্যে সিটি মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিগত ২০২১ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আপনাদের ভোটে আমি জয়লাভ করলেও তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের কূটকৌশলে আমাকে পরাজিত দেখানো হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় তখন আদালতের স্মরণাপন্ন হই। জুলাই ২৪-এ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে অবৈধ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের পতনের পর মাননীয় আদালত থেকে সুবিচার প্রাপ্য হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের মেয়র পদে দায়িত্বপালন করছি। তাই নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা ও চট্টগ্রাম মহানগরকে পরিবেশগত ক্লিন-গ্রিন, হেলদি ও নিরাপদ সিটি, আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাসযোগ্য নান্দনিক পর্যটন নগর প্রতিষ্ঠার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করছি।’

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।

উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৫৮ কোটি ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯২ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬৫৪ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৭৯ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।

রবিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩২ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। আগস্টে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। আর জুলাইয়ে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ওই অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার।

একই অর্থবছরের মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
 

ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন মাসে কনটেইনার পরিবহন বাড়ল ১২ শতাংশ
  • চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪.৮%, পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
  • সর্বজনীন পেনশনের সুরক্ষা স্কিমে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দেওয়া যাবে
  • সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
  • ডেসকোর পর্ষদ সভা ১২ অক্টোবর
  • অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকা
  • টানা দুই মাস রপ্তানি কমল
  • মুনাফা কমলেও রেকর্ড লভ্যাংশ দেবে ইবনে সিনা ফার্মা