বর্ষার মৌসুমে যখন তখন বৃষ্টি নামে। মাঝেমাঝে বৃষ্টির তোড় এতটা বেশি থাকে যে সঙ্গে ছাতা থাকলেও জামাককাপড়ের সাথে চুল ভিজে যায়। বৃষ্টির পানি লাগলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। তখনই চুল ঝরতে শুরু করে। বাড়ি ফিরে ভিজে চুল তোয়ালে দিলে মুছলেও চুলের আলাদা যত্ন জরুরি। 

১. ভিজা চুলে আলগা করে তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। তোয়ালে চুলের পানি শুষে নেওয়ার পর মাথা ভিজিয়ে গোসল করুন। চাইলে শ্যাম্পুও করতে পারেন । তবে ভেজা চুল ভুলেও ড্রায়ার দিয়ে শুকোবেন না। ভালো করে মুছে নিলে এমনিতেই চুল শুকিয়ে যায়। 

২.

বৃষ্টিতে ভিজলে অনেকেই বাড়িতে ফিরে গরম পানি দিয়ে গোসল সারেন।  কেউ কেউ শ্যাম্পুও করেন। কিন্তু গরম পানিতে চুল ধুলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। আরও বেশি করে চুল ঝরার আশঙ্কা বাড়ে। 

৩. চুলের জন্য গ্রিন টি এবং অ্যালো ভেরা ভীষণ উপকারী। চুল ভালো রাখতে এই দুই উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। চুলের অনেক সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে এই উপকরণগুলিতে। কন্ডিশনার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন এসব উপাদান। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ল র যত ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নতুন সভাপতি জহিরুল, মহাসচিব মনিরুল

বিনা ভোটে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) নতুন সভাপতি ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও কম্পিউটার সিটি টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। গত শনিবার কোনো পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় সাত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হন। গতকাল রোববার বিজয়ীদের মধ্যে পদ বণ্টনের পর আজ সোমবার ২০২৫–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন বোর্ড। নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. ওয়াহিদুল হাসান (ল্যান্ডমার্ক কম্পিউটারস)। যুগ্ম মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন যথাক্রমে মো. আহসানুল ইসলাম (পিসি গার্ডেন) ও আবুল হাসান (এইচ এম কম্পিউটারস)। পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন মো. নজরুল ইসলাম (ওয়েলকিন কম্পিউটারস) ও মো. ইকবাল হোসাইন (জ্যাজি)।

নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় দায়িত্ব নেব। আসলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচতি হয়েছি, কারণ সবাই চেয়েছে। আমরা কাউকেই বারণ করিনি। কিন্তু বিসিএসের যে অবস্থা, সেখানে আসলে সেভাবে কেউ দায়িত্বে আসতে চাননি। আপনি জানেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। সবাই মিলে চাইল আমাকে, তাই দায়িত্বে এসেছি। এখন আমার জায়গা থেকে যে কাজ করার সুযোগ রয়েছে, সেটা আমরা সবাইকে নিয়েই করব।’

বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজ বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিগগিরই তিনি নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। নাহিদ আফরোজ আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনের বাইরে আমরা কিছুই করিনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতেই পারে। তাঁরা যদি অন্য সদস্যদের বুঝিয়ে কিছু করে থাকেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। নির্বাচন বোর্ডে যাঁরা ছিলেন, এটা তাঁরা ভালো বলতে পারবেন।’

কম্পিউটার সমিতির নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শরীফ রায়হান কবির। তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর আমরা একটা দিনও নষ্ট করিনি। একদম সময়মতো সংগঠনের বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচনের সবকিছু হয়েছে। এখন সাত পদের জন্য সাত প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলে তাঁদেরকেই নির্বাচিত ঘোষণা করতে হবে। আমরা সেটাই করেছি।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেন। এরপর ২ সেপ্টেম্বর এক তলবি সভার মাধ্যমে স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়। এ সভায় বিসিএসের বেশ কয়েকজন সাবেক সভাপতিসহ সদস্যদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সমিতির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পরিচালক, বাণিজ্য সংগঠনে (ডিটিও) পাঠানো হয়। তবে ডিটিও বিষয়টি অনুমোদন করেনি। পরে সংগঠনে প্রশাসক নিয়োগের অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিসিএসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই প্রশাসকের দায়িত্ব ছিল ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু জানুয়ারির ২৪ তারিখ সময়সীমা অতিক্রম করলেও তখন পর্যন্ত নির্বাচন আয়োজনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ