মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ঘ, আহত ৩০
Published: 23rd, June 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে দুটি গ্রামের বাসিন্দার সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন টেঁটাবিদ্ধ হন। সোমবার দুপুরে বালুচর ইউনিয়নের বালুচর বাজারে মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাজারের ১০টা দোকানপাটেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, মোল্লাকান্দির বাসিন্দা শাহীন ব্যাপারীর একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজ রয়েছে বালুচর বাজারে। তাঁর কাছে ৬ মাসের বিল পায় বিদ্যুৎ বিভাগ। সোমবার দুপুরে সেই বিলের জন্য তাগাদা দিতে আসেন এক কর্মকর্তা। এ সময় শাহীনের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, তর্কাতর্কির সময় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তার পক্ষ নেন খাসমহল বালুচরের সুলতান সর্দার (৪০)। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে শাহীনের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে মোল্লাকান্দি ও খাসমহল বালুচরের বাসিন্দার মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় ৬ জন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। টেঁটাবিদ্ধ ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বালুচর ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের ভাষ্য, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে ২০-৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন বলে শুনেছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত।
সিরাজদীখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বালুচর বাজারে আছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ আহত স ঘর ষ ব ল চর
এছাড়াও পড়ুন:
লিফলেট বিতরণে যাওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলার অভিযোগ
মাদারীপুরের শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফা–সংবলিত লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাত আটটার দিকে শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট নিয়ে বের হন মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাবলু সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থকেরা। শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেন তাঁরা। ফেরার পথে উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকায় এলে শিবচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান বাবুল ফকিরের লোকজনের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ।
এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন। ভাঙচুর করা হয় পাঁচটি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিবচর থানা–পুলিশ ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া সুমন আহম্মেদ ও রাশেদ মৃধা বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট নিয়ে তাঁরা চরশ্যামাইল এলাকার কাজীর দোকান নামক স্থানে এলে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ফকিরের ছেলে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা সুমন ফকিরের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাঁদের অনেক লোকজন আহত হয়েছেন। মোটরসাইকেল রেখে তাঁদের অনেকে সেখান থেকে ফিরেছেন।
বিএনপি নেতা সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কয়েকজন অনুসারীর কথাকাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি মিটমাটও হয়ে গেছে। লিফলেট বিতরণ শেষ করে মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার সময় রাস্তায় গতিরোধ করে দুই দিক থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলায় যারা আহত বেশির ভাগই বিএনপির কর্মী সমর্থক। তিনি হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতের বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বাবলু ফকিরের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমিসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিই। এ ঘটনায় থানায় এখনো অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’