মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে দুটি গ্রামের বাসিন্দার সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন টেঁটাবিদ্ধ হন। সোমবার দুপুরে বালুচর ইউনিয়নের বালুচর বাজারে মোল্লাকান্দি ও খাসমহল গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাজারের ১০টা দোকানপাটেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, মোল্লাকান্দির বাসিন্দা শাহীন ব্যাপারীর একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজ রয়েছে বালুচর বাজারে। তাঁর কাছে ৬ মাসের বিল পায় বিদ্যুৎ বিভাগ। সোমবার দুপুরে সেই বিলের জন্য তাগাদা দিতে আসেন এক কর্মকর্তা। এ সময় শাহীনের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, তর্কাতর্কির সময় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তার পক্ষ নেন খাসমহল বালুচরের সুলতান সর্দার (৪০)। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে শাহীনের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে মোল্লাকান্দি ও খাসমহল বালুচরের বাসিন্দার মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় ৬ জন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। টেঁটাবিদ্ধ ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

বালুচর ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের ভাষ্য, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে ২০-৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন বলে শুনেছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত। 

সিরাজদীখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বালুচর বাজারে আছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ আহত স ঘর ষ ব ল চর

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ