ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা মাপার আন্তর্জাতিক পরীক্ষা আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম)। এই পরীক্ষায় ভালো করতে সঠিক ও স্পষ্টভাবে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা জরুরি। আপনার উচ্চারণ স্পষ্ট না হলে স্পিকিং অংশে নম্বর কমে যেতে পারে। এ ছাড়া সঠিক উচ্চারণ না জানলে উচ্চারণ ভুলের কারণে আরেকজনের কাছে ভুল বার্তা যায়। সঠিক উচ্চারণ আমাদের কথার স্পষ্টতা বাড়ায় এবং এটি আমাদের ভাষাগত দক্ষতাকে আরও শক্তিশালী করে।

সঠিক ও স্পষ্টভাবে ইংরেজির উচ্চারণ শেখার জন্য প্রতিদিন অনেক কাজ করতে হবে আপনাকে। এক দিন সময় দিয়ে আর সাত দিন পড়ার কোনো খোঁজ নেই, তাহলে শেখা হবে না। প্রতিদিন একটু একটু করে শিখতে হবে। প্রতিদিনের রুটিনের একটি নমুনা এমন হতে পারে। রুটিন নিজের মতোও সাজিয়ে নিতে পারেন। তবে চর্চা প্রতিদিন চালাতে হবে।

সকালের রুটিন (২০–৩০ মিনিট)

*ওয়ার্মআপ (৫ মিনিট): ঘুম থেকে উঠে বিছানায় থাকা অবস্থায় আপনার মুখ ও জিবের পেশিকে শিথিল করার জন্য কিছু মুখের ব্যায়াম করুন। উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন আছড়ানো শব্দ, যেমন ‘ee’, ‘oo’, ‘ah’ ও কিছু মৌলিক ধ্বনির চর্চা করুন (যেমন ‘th’, ‘r’, ‘l’)।

আরও পড়ুনসুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপ, আইইএলটিএস ৬.

৫, সপ্তাহে ১৫ ঘণ্টা কাজ ও খরচ কেমন৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

*শুনে পুনরাবৃত্তি (১০–১৫ মিনিট):

একটি ছোট অডিও বা ভিডিও নির্বাচন করুন (যেমন পডকাস্ট, সংবাদ ক্লিপ বা ইউটিউব ভিডিও) যেটি স্পষ্ট উচ্চারণে থাকবে। মনোযোগ দিয়ে শোনার পর বাক্যগুলো উচ্চারণ করুন এবং বক্তার সুর, রিদম ও অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। কঠিন শব্দগুলোর ওপর বেশি মনোযোগ দিন।

*শ্যাডোইং (৫–১০ মিনিট):

একটি মূল বক্তার বক্তব্য এক থেকে দুই মিনিট শোনার পর, তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে উচ্চারণ করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার ধ্বনিগত দক্ষতা ও প্রাকৃতিক উচ্চারণের উন্নতি করতে সাহায্য করবে।

দুপুরের রুটিন (২০–৩০ মিনিট)

*ধ্বনিগত অনুশীলন (১০ মিনিট):

বিশেষ শব্দ বা ধ্বনির ওপর কাজ করুন, যেগুলো আপনি কঠিন মনে করেন। যেমন যদি কিছু স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জনধ্বনি আপনার কাছে কঠিন মনে হয়, তাহলে সেই শব্দগুলোর জন্য অনুশীলন করুন (যেমন ‘ship’ ও ‘sheep’–এর মধ্যে পার্থক্য)। Forvo বা YouGlish অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে আপনি নেটিভ বক্তাদের উচ্চারণ শুনতে পারবেন এবং তাঁদের অনুসরণ করতে পারবেন।

ফাইল ছবি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।

পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।

কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।

আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগে

পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগে

বিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ