কুবেরা: কে কত কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?
Published: 24th, June 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা অভিনয়শিল্পী ধানুশ ও রাশমিকা মান্দানা। ‘কুবেরা’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন তারা। অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন শেখর কামুলা। গত ২০ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
‘কুবেরা’ সিনেমা মুক্তির পর বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে। চলচ্চিত্র সমালোচকরাও সিনেমাটির প্রশংসা করছেন। কিন্তু এ সিনেমার জন্য কোন তারকা কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন?
সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, ‘কুবেরা’ সিনেমায় দেবা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ধানুশ। চরিত্রটি রূপায়নের জন্য ভার্সেটাইল এই অভিনেতা ৩০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি) পারিশ্রমিক নিয়েছেন। এ সিনেমায় সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতা ধানুশ।
আরো পড়ুন:
দেশি লুকে রাশমিকা, শাড়ির মূল্য কত?
কত টাকার মালিক রাশমিকা?
‘কুবেরা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রবীণ সুপারস্টার নাগার্জুনা আক্কিনেনি। এতে দীপক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এজন্য নাগার্জুনা ১৪ কোটি রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম রাশমিকা মান্দানা। বলিউডেও তার চাহিদা বেড়েছে। মজার ব্যাপার হলো, রাশমিকা চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রীদের একজন হওয়া সত্ত্বেও সিনেমাটির জন্য ৪ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা) নিয়েছেন। সাধারণত, ৫-১২ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। কেন এত টাকা কম নিয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি।
‘কুবেরা’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন— নাগার্জুনা আক্কিনেনি, ধানুশ, রাশমিকা মান্দানা। সামাজিক গল্পের সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন— জিম, ভাগ্যরাজ, সুনয়না, জয়প্রকাশ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮০-১২০ কোটি রুপি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)