‘বাংলাদেশ বেকার সমাজের’ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছেলের বাসার ‘ড্রয়িং রুম’
Published: 24th, June 2025 GMT
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য গত ২৯ মে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস)। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানায় দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডির ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাড়ি। ওই ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. হাসানের ছেলে এই বাড়িতে থাকেন। বাড়ির তৃতীয় তলায় ছেলের বাসার ড্রয়িং রুম দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ধানমন্ডির গ্রীন লাইফ হাসপাতালের ঠিক পাশেই ক্রিসেন্ট রোড। রাস্তা ধরে দুই–তিন মিনিট ভেতরে এগোলেই ডান হাতে একটি গলি। গলির শেষ প্রান্তে ‘১৩১/১, এ’ নম্বর বাড়ি। এই বাড়ির তিনতলায় বাংলাদেশ বেকার সমাজের (বাবেস) কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে দেখা যায়, বাড়ির মূল প্রবেশপথের বাঁ পাশের দেয়ালে টাঙানো ‘বাংলাদেশ বেকার সমাজের (বাবেস)’ সভাপতি মো.
ব্যানারে সাঁটানো বাসার দরজায় কড়া নাড়তেই বের হয়ে আসেন নাদিয়া খানম নামের এক নারী। দলটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি নিজেকে দলটির সভাপতি মো. হাসানের পুত্রবধূ পরিচয় দেন। বাসাটিতে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম চলে কি না, জিজ্ঞাসা করতেই দরজা খুলে ভেতরে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
ভেতরে প্রবেশের পর দেখা যায়, একটি বড় ড্রয়িং রুমের মেঝের এক পাশে একটি বিছানা। বিছানার পাশেই রয়েছে একটি টেবিল আর দুটি প্লাস্টিকের চেয়ার। টেবিলের ওপরের দিকে ছোট ছোট আরও দুটি দলীয় ব্যানার। ড্রয়িং রুমের অপর পাশে আরও দুটি থাকার কক্ষ ও একটি রান্নাঘর আছে। তবে শুধু ড্রয়িং রুমেই দলের কার্যক্রম চলে। বাকি কক্ষ দুটিতে দলটির সভাপতি মো. হাসানের ছেলে ও পুত্রবধূ থাকেন।
বাসায় দলের কার্যক্রমের বিষয়ে নাদিয়া খানম জানান, এটি মূলত তাঁদের বাসা। স্বামীর সঙ্গে কয়েক বছর ধরে সেখানে থাকছেন। দলের সভাপতি মো. হাসান তাঁর শ্বশুর। তবে তিনি ওই বাসায় থাকেন না। মাঝে মাঝে লোকজনের সঙ্গে বাসাটিতে বৈঠক করেন। এ ছাড়া তেমন কোনো কার্যক্রম সেখানে হয় না।
পরে যোগাযোগ করা হলে দলটির সভাপতি মো. হাসান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশ বেকার সমাজ রাজনীতি করে আসছে। আমি কয়েকবার বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি ২০২২ সালে। নিবন্ধন না পাওয়ায় এবার আবার আবেদন করেছি। দেশের বেকার সমাজের স্বার্থ সংরক্ষণে আমাদের দল কাজ করছে।’
ছেলের বাসাকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে মো. হাসান বলেন, ‘বড় কয়েকটি দল ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো দলেরই সেভাবে কার্যালয় নেই। বাসাটিতে আমরা অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে কার্যক্রম চালাচ্ছি। পাশের কক্ষে ছেলে ও পুত্রবধূ থাকে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী নতুন দলের কাছ থেকে নিবন্ধনের আবেদন আহ্বান করে নির্বাচন কমিশন। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬৫টি দল আবেদন করে। পরে এনসিপিসহ কিছু দলের অনুরোধে নিবন্ধনের আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ানো হয়। এই সময়সীমা গত রোববার শেষ হয়।
শেষ দুই মাসে আবেদন জমা পড়ে ৮২টি। এর মধ্যে রোববার শেষ দিনেই আবেদন জমা পড়ে ৪২টি। নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৪৭টি দল। দুই দফায় নিবন্ধনের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়া দলগুলোর নামের তালিকা সোমবার প্রকাশ করেছে কমিশন।
আবাসন কোম্পানির অফিস ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির কার্যালয়আবাসন কোম্পানির অফিসকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে দেখিয়েছে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টিউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি
শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন।
গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।
আরো পড়ুন:
‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’
সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?
পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”
ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।”
পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত