চিরঞ্জীবী-নাগার্জুনার ক্রাশ হাঁটুর বয়সি রাশমিকা
Published: 25th, June 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। অভিনয় ও শরীরি সৌন্দর্যে ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন। সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ‘ভারতের জাতীয় ক্রাশ ২০২০’ নির্বাচিত হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার দুই মেগাস্টার চিরঞ্জীবী ও নাগার্জুনা আক্কিনেনি। বরেণ্য এই দুই তারকা জানালেন— তাদের ক্রাশ রাশমিকা মান্দানা।
রাশমিকা অভিনীত ‘কুবেরা’ সিনেমা কয়েক দিন আগে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন ধানুশ ও নাগার্জুনা আক্কিনেনি। মুক্তির পর বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে। এ উপলক্ষে সাকসেস পার্টির আয়োজন করা হয়। সেখানে এমন মন্তব্য করেন নাগার্জুনা-চিরঞ্জীবী।
রাশমিকার অভিনয়ের প্রশংসা করে ৬৫ বছর বয়সি নাগার্জুন আক্কিনেনি বলেন, “রাশমিকাকে দেখে মনে হচ্ছিল, আমি শ্রীদেবীকে দেখছি। রাশমিকা কেবল ভারতের জাতীয় ক্রাশ নয়, সে আমারও ক্রাশ।” এ কথা শুনে উল্লাস করনে উপস্থিত অতিথিরা। এ সময় ২৯ বছরের রাশমিকাকে লাজুকভাবে হাসতে দেখা যায়।
অনুভূতি প্রকাশ করে ৬৯ বছরের মেগাস্টার চিরঞ্জীবী বলেন, “নাগ, আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তা তুমি আগেই বলেছ! রাশমিকা আমারও ক্রাশ।” চিরঞ্জীবীর কথা শুনে উপস্থিত সকলে হাসতে থাকেন। বরেণ্য দুই তারকার এমন মন্তব্যে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রাশমিকা মান্দানা।
‘কুবেরা’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন— নাগার্জুনা আক্কিনেনি, ধানুশ, রাশমিকা মান্দানা। সামাজিক গল্পের সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন— জিম, ভাগ্যরাজ, সুনয়না, জয়প্রকাশ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮০-১২০ কোটি রুপি।
মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন রাশমিকা মান্দানা। ২০১২ সালে ‘ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ফ্রেস অব ইন্ডিয়া’ খেতাব জেতেন তিনি। ২০১৬ সালে কন্নড় ভাষার ‘কিরিক পার্টি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। অভিষেক এ চলচ্চিত্রের জন্য সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন এই অভিনেত্রী।
এরপর ‘চালো’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় অভিষেক হয় রাশমিকার। অল্প সময়ের মধ্যে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। ‘গীতা গোবিন্দম’, ‘ডিয়ার কমরেড’, ‘সারিলেরু নীকেবারু’, ‘পুষ্পা’, ‘অ্যানিমেল’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘তাণ্ডব’মুক্তির পর দর্শকের ভালোবাসা দশ গুণ বেড়েছে
সাবিলা নূর। অভিনেত্রী ও মডেল। গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তাণ্ডব’। চলচ্চিত্রে অভিষেক, অভিনয় নিয়ে ভাবনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এমদাদুল হক মিলটন
চলচ্চিত্রে অভিষেক হলো, কেমন লাগছে?
‘তাণ্ডব’ সিনেমার মুক্তির পর থেকে এখনও ঘোরের মধ্যে আছি। যে সিনেমা নিয়ে এতদিন কাজ করেছি, সবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টায় ছিলাম– সেটি এখন দর্শক দেখছেন। এসব ভেবে অন্যরকম এক অনূভূতি হচ্ছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ‘লিচুর বাগান’, ‘তোমাকে ভেবে’ গানটি যখন বড় পর্দায় দেখেছি, তখন আসলে অন্যরকম ভালোলাগা ছুঁয়ে গিয়েছিল আমায়। দর্শক সিনেমাটি খুব সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছেন।
দর্শকের সঙ্গে নিজের প্রথম সিনেমা দেখার অনুভূতি কেমন ছিল?
সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনই দর্শকের সঙ্গে হলে বসে সিনেমাটি দেখেছি। এটি আমার জন্য স্মরণীয় একটি দিন ছিল। দর্শকের সঙ্গে সিনেমা দেখার অনুভূতিই অন্যরকম। সরাসরি তাদের প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।
শাকিবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি একটু বলতেন?
শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমে কাজ করতে গিয়ে একটু নার্ভাস ছিলাম। প্রথম দিন, প্রথম দৃশ্যেই তাঁর সঙ্গে অভিনয়! একটু ভয়ও কাজ করছিল। তিনি সেটে আমার জন্য পরিবেশ সহজ করে দিলেন। শুটিংয়ের সময় কখনও বুঝতে দেননি, আমার সঙ্গে এটি তাঁর প্রথম কাজ। বরং যে আন্তরিকতা, সহযোগিতা আর সম্মান পেয়েছি, তা আজীবন স্মৃতিতে থাকার মতো। এত বড় মেগাস্টার অথচ সহযোগিতাপরায়ণ– এটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর কাছে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরাপ্রাপ্তি।
সাবিলা নূর থেকে ‘নিশাত’ হয়ে ওঠার সফরটি কেমন ছিল?
খুবই রোমাঞ্চকর। নির্মাতা রায়হান রাফিসহ আমার টিমের বেশ সহযোগিতা পেয়েছি। নাটকে আমি অনেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি। বিভিন্ন ধরনের চেহারায় আমাকে দেখা গেছে। দর্শক যখন আমাকে হলে গিয়ে দেখবেন, তখন যেন একটা নতুন লুকে তারা আবিষ্কার করেন– এমন ভাবনা ছিল মাথায়। লুকের ব্যাপারে অনেকবার টিমের সঙ্গে মিটিং করেছি।
শাকিব খানের পাশাপাশি সঙ্গে জয়া আহসান, আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, সালাউদ্দিন লাভলু, ফজলুর রহমান বাবু, রোজী সিদ্দিকীদের মতো এত গুণী অভিনয়শিল্পীরা ছিলেন সিনেমায়। তাদের সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করেছি। এর চাপ তো ছিল। এ কারণে নিশাত চরিত্রকে পর্দায় ফুটিতে তোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল।
অভিষেক হলো, এখন নিশ্চয়ই বড় পর্দায় নিয়মিত দেখা যাবে?
সিনেমায় অভিষেক ভালো হয়েছে। তাই সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। বাকিটা নির্ভর করছে দর্শক ও নির্মাতাদের ওপর। এখন আমাদের দেশে মানসম্পন্ন সিনেমা হচ্ছে। নির্মাতারা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছেন। আশা করছি, আগামীতে আরও ভালো সিনেমায় কাজ করার সুযোগ মিলবে।
ছোট পর্দায় অভিনয় নিয়ে কী ভাবছেন?
সত্যি কথা বলতে কী, আমি এখনও সেভাবে মাধ্যমের কথা চিন্তা করিনি। এখনও সিনেমাটি চলছে। আমার লক্ষ্য সব সময় ভালো কাজ করার। আমার সিনেমার ক্যারিয়ার সুন্দরভাবে শুরু হয়েছে– এটি ছোট পর্দার কাজের কারণেই হয়েছে। ছোটপর্দার দর্শকরা যে ভালোবাসা দিয়েছেন, তাদের কারণেই এ পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস পেয়েছি। সেখানে আমার কৃতজ্ঞতা অবশ্যই কাজ করবে। ছোটপর্দায় বাছাই করে, ভালো লাগার মতো কিছু চরিত্র থাকলে অবশ্যই অভিনয় করব।
ঈদে মুক্তি পাওয়া অন্য সিনেমা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
সব সিনেমাই বেশ ভালো করেছে। ভিন্ন ভিন্ন জনরার সিনেমা হয়েছে। তাসনিয়া ফারিণ ছোটপর্দার অনেক দিন কাজ করেছেন। এখন বড় পর্দায় কাজ করছেন। আমি তাঁকে শুভকামনা জানিয়েছি। ‘উৎসব’ সিনেমাটিও ভালো লেগেছে। এ সিনেমায় গুণী অভিনেতাদের দেখতে পেয়েছি। এতে সাদিয়া আয়মান, সৌম্যও খুব ভালো করেছেন। নারীকেন্দ্রিক সিনেমা ‘এশা মার্ডার’ দর্শক পছন্দ করেছেন। এখন যারা কাজ করছি কিংবা ভবিষ্যতে যারা ভালো কাজ করতে চাই, তাদের জন্য এটি ভালো সংবাদ। দুই ঈদের সিনেমারই সাফল্য এসেছে। এতে অভিষ্যতে আমরা ভালো কাজের মোটিভেশন পাব। এটি ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই ভালো একটি ব্যাপার।
শুটিংয়ে ফিরবেন কবে?
এখন বলতে পারছি না। কয়েকটা গল্প নিয়ে কথা চলছে। পাকাপাকি হলে অবশ্যই জানাতে পারব।
দেখতে দেখতে অভিনয়ে এক দশক পার করে ফেলেছেন। পেছনে ফিরে তাকালে কী দেখতে পান?
ছোটপর্দা কিংবা ওটিটিতে আমি যে কাজগুলো করেছি, এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের বেশ সাপোর্ট পেয়েছি বলেই এতদূর আসতে পেরেছি। দর্শকের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। এ জন্য অনেক স্ট্রাগলও করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে আজকে আমি। আগামীতে দর্শকদের যেন হতাশ না করি, এটাই আমরা চাওয়া থাকবে।
দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলবেন...
তাদের তো অনেক বড় ধন্যবাদ জানাতে চাই। ‘লিচুর বাগান’-এ গানটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তারা আমাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসা দিয়েছেন। সিনেমাটি মুক্তির পর তাদের ভালোবাসা দশ গুণ বেড়েছে। দর্শকের এই ভালোবাসা আমাকে ভীষণ শক্তি দেয় ভবিষ্যতে ভালো কাজ করার জন্য। আশা করছি, আগামীতে তারা আমার সঙ্গে এভাবেই থাকবেন।