জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
Published: 25th, June 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই কর্মসূচির বিস্তারিত জানানো হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জুলাই শহীদের স্মরণ, পোস্টারিং, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, গ্রাফিতি, সব জেলায় জুলাই স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন, আলোচনা অনুষ্ঠান প্রভৃতি। ৫ আগস্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনউ অভিমুখে বিজয় মিছিলসহ আরও কিছু আয়োজনের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হবে।
১ জুলাই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা, খুনিদের বিচার দাবিতে গণস্বাক্ষর শুরু ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবৃত্তি চালু, ৫ জুলাই আওয়ামী সরকারের জুলুম-নির্যাতন প্রচারে দেশব্যাপী পোস্টারিং কর্মসূচি, ৭ জুলাই Julyforever.
১৭ জুলাই প্রতীকী কফিন মিছিল, ১৮ জুলাই ১ মিনিটের প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, ট্র্যাশন শো ও ম্যারাথন, ১৯ জুলাই শহীদদের স্মরণে সমাবেশ ও দিনটিকে ‘গণহত্যা ও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন, ২০ জুলাই শহীদদের স্মরণে সমাবেশ, ২১ জুলাই সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় জুলাইয়ের তথ্যচিত্র প্রদর্শন, সব মাদ্রাসায় জুলাই স্মরণে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
২২ জুলাই জাহাঙ্গীরনগরে ‘অদম্য-২৪’ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন ও রাজু ভাস্কর্যের সামনে জুলাইয়ের কবিতা পাঠ, ২৩ জুলাই প্রবাসীদের সংযুক্ত করে অনুষ্ঠান, দূতাবাসগুলোয় জুলাইয়ের নির্বাচিত ছবি ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ২৪ জুলাই শিশু একাডেমিতে আইকনিক ভাস্কর্য স্থাপন, ২৫ জুলাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাটক প্রদর্শন, ২৬ জুলাই বাংলা একাডেমিতে জুলাইয়ের প্রকাশিত বই নিয়ে বইমেলা, ২৭ জুলাই বুদ্ধিবৃত্তিক সংলাপ, ২৮ জুলাই সারাদেশে রক্তদান ও মেডিকেল ক্যাম্পেইন এবং ২৯ জুলাই গাজীপুরে বা সাভারে শ্রমিক সমাবেশ করা হবে।
এ ছাড়া ৩০ জুলাই ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখা সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান, ৩১ জুলাই সব কলেজে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি স্মরণে অনুষ্ঠান, ১ আগস্ট বাংলাদেশি দূতাবাসে জুলাই নিয়ে বানানো নির্বাচিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ২ আগস্ট ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, ৩ আগস্ট শাহবাগ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত শোভাযাত্রা, ৪ আগস্ট জুলাইয়ের কার্টুনের প্রদর্শনী এবং ৫ আগস্ট ৬৪ জেলার কেন্দ্রে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন স ম ত স তম ভ দ র স মরণ অন ষ ঠ ন আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র আন্দলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে রূপগঞ্জে শ্রমিক সমাবেশ ও দোয়া
স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার বরাব এলাকায় শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকাল ৫টায় ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুথান ও ফ্যাসিবাদের পতন দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ ও আহতদের স্মরণে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক এড.তারিকুল রহমান ।
তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও দেশের শ্রমিক শ্রেণি এখনো ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। সেই অভ্যুত্থানে ছাত্র-শিক্ষক, পেশাজীবীদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও রক্ত দিয়েছেন। অথচ আজও শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে।”
সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামি সাধারন সম্পাদক মো.হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন, নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা,ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন আবদুল মজিদ শিকদার,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আকরাম হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট সহকারী পিপি এড.ইসরাফিল হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলার জামায়াতে ইসলামি কর্ম পরিষদ সদস্য মজিবুর রহমান মিয়াজী,নারায়ণগঞ্জ মহনগরী শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি হাফেজ আবদুল মোমেন, প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামি সেক্রেটারী মো.হাফিজুর রহমান তিনি বলেন- “যদিও স্বৈরাচারী সরকার বিতাড়িত হয়েছে, তবে এখনো বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। আজও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কিছু ব্যক্তি জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।”
সমাবেশে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক, পেশাজীবী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।