সারাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছে। করোনা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।  এ সময়ে সুস্থ থাকতে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। সেক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ পদ্ধতি যেমন-সুষম খাদ্য গ্রহণ, যোগব্যায়াম, নিয়মিত মেডিটেশন, পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি ভেষজ কিছু উপাদানও দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায়  অন্তর্ভুক্ত করুন।  ভারতীয় চিকিৎসক ডা.

মহেশ শর্মার মতে, আয়ুর্বেদ পদ্ধতি স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

প্রতিদিন যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে
১. হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য সারাদিন হালকা গরম পানি পান করুন।
২. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট যোগাসন, প্রাণায়াম এবং মেডিটেশন করুন।
৩. রান্নার সময় হলুদ, জিরা, ধনেপাতা, রসুন যোগ করুন। 
৪. প্রতিদিন আমলকি খান। 
৫. পর্যাপ্ত ঘুম অর্থাৎ প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান। দিনের বেলা ঘুম এড়িয়ে চলুন।
৬. ঋতু পরিবর্তনের সময় সুষম, স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
৭. টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

আয়ুর্বেদ উপায়ে শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন যেভাবে
১. তুলসি, দারুচিনি, কালো মরিচ এবং শুকনো আদা দিয়ে তৈরি ভেষজ চা দিনে একবার বা দুবার পান করুন। স্বাদ বাড়াতে গুড় এবং লেবুর রস যোগ করুন।
২. ১৫০ মিলি গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খান। 
৩.বিভিন্ন ধরণের তাজা মৌসুমি ফল ও শাকসবজি, গোটা শস্য, ভিটামিন সি এবং ডি সমৃদ্ধ খাবার খান।

সহজ আয়ুর্বেদিক প্রতিকার
অয়েল পুলিং থেরাপি - মুখে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন। মুখে ২ থেকে ৩ মিনিট ধরে রেখে গরম পানি দিয়ে কুচিকুচি করুন। এটি দিনে একবার বা দুবার করা যেতে পারে।
গলা ব্যাথা হলে দিনে একবার গিরম পানিতে তাজা পুদিনা পাতা, কর্পূর মিশিয়ে ভেপার নিতে পারেন। 
শুষ্ক কাশি হলে মধুর সাথে লবঙ্গ, লবঙ্গ গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেতে পারেন। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ