গুগল কি সত্যিই গোপনে এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ইউটিউব ভিডিও ব্যবহার করেছে
Published: 25th, June 2025 GMT
গুগল তাদের সর্বাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ‘জেমিনি’ ও ‘ভিও৩’ এর প্রশিক্ষণে ইউটিউবের বিপুলসংখ্যক ভিডিও গোপনে ব্যবহার করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউটিউবের বিশাল ভিডিও ভান্ডার থেকে বাছাই করা ভিডিও ব্যবহার করে জেমিনি ও ভিও৩ মডেলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে গুগল। তবে নিজেদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে গোপনে ইউটিউব ভিডিওর তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে গুগল জানিয়েছে, কনটেন্ট নির্মাতা ও মিডিয়া সংস্থার সঙ্গে থাকা চুক্তির আওতায় ইউটিউবে থাকা ভিডিওগুলো এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হয়েছে।
গুগলের তৈরি ভিও৩ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির সর্বাধুনিক ভিডিও জেনারেশন এআই মডেল। এটি বাস্তবসম্মত ও চলচ্চিত্র মানের ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম। এতে শব্দ, সংলাপ ও ভিজ্যুয়াল উপাদানের নিখুঁত সমন্বয় থাকে। চলতি বছরের গুগল আই/ও সম্মেলনে মডেলটি উন্মোচন করা হয়। নিজেদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে গোপনে ইউটিউব ভিডিওর তথ্য ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে গুগলের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই ইউটিউবের কনটেন্ট ব্যবহার করে আমাদের পণ্য উন্নত করেছি। এআই যুগেও সেই নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে নির্মাতাদের স্বত্ব ও ব্যক্তিসত্তা রক্ষায় আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।’
বর্তমানে ইউটিউবে ভিডিও নির্মাতারা চাইলে তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এআই মডেলের জন্য নিজেদের ভিডিওর তথ্য ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ রাখতে পারেন। কিন্তু গুগলের ক্ষেত্রে তাদের সে অধিকার নেই। এর ফলে অনেক কনটেন্ট নির্মাতা এখনো জানেন না তাঁদের ভিডিও ব্যবহার করে গুগলের এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
কনটেন্ট নির্মাতাদের মতে, তাঁদের তৈরি ভিডিও দিয়ে প্রশিক্ষিত এআই মডেল ভবিষ্যতে তাঁদেরকেই প্রতিস্থাপন করতে পারে। পাশাপাশি এসব কনটেন্ট ব্যবহারের জন্য তাঁরা কোনো রকম স্বীকৃতি বা আর্থিক ক্ষতিপূরণও পাচ্ছেন না।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ব যবহ র র কনট ন ট গ গল র
এছাড়াও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।
পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।
কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগেপরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে