গুগল তাদের সর্বাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ‘জেমিনি’ ও ‘ভিও৩’ এর প্রশিক্ষণে ইউটিউবের বিপুলসংখ্যক ভিডিও গোপনে ব্যবহার করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউটিউবের বিশাল ভিডিও ভান্ডার থেকে বাছাই করা ভিডিও ব্যবহার করে জেমিনি ও ভিও৩ মডেলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে গুগল। তবে নিজেদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে গোপনে ইউটিউব ভিডিওর তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে গুগল জানিয়েছে, কনটেন্ট নির্মাতা ও মিডিয়া সংস্থার সঙ্গে থাকা চুক্তির আওতায় ইউটিউবে থাকা ভিডিওগুলো এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হয়েছে।

গুগলের তৈরি ভিও৩ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির সর্বাধুনিক ভিডিও জেনারেশন এআই মডেল। এটি বাস্তবসম্মত ও চলচ্চিত্র মানের ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম। এতে শব্দ, সংলাপ ও ভিজ্যুয়াল উপাদানের নিখুঁত সমন্বয় থাকে। চলতি বছরের গুগল আই/ও সম্মেলনে মডেলটি উন্মোচন করা হয়। নিজেদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে গোপনে ইউটিউব ভিডিওর তথ্য ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে গুগলের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই ইউটিউবের কনটেন্ট ব্যবহার করে আমাদের পণ্য উন্নত করেছি। এআই যুগেও সেই নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে নির্মাতাদের স্বত্ব ও ব্যক্তিসত্তা রক্ষায় আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।’

বর্তমানে ইউটিউবে ভিডিও নির্মাতারা চাইলে তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এআই মডেলের জন্য নিজেদের ভিডিওর তথ্য ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ রাখতে পারেন। কিন্তু গুগলের ক্ষেত্রে তাদের সে অধিকার নেই। এর ফলে অনেক কনটেন্ট নির্মাতা এখনো জানেন না তাঁদের ভিডিও ব্যবহার করে গুগলের এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

কনটেন্ট নির্মাতাদের মতে, তাঁদের তৈরি ভিডিও দিয়ে প্রশিক্ষিত এআই মডেল ভবিষ্যতে তাঁদেরকেই প্রতিস্থাপন করতে পারে। পাশাপাশি এসব কনটেন্ট ব্যবহারের জন্য তাঁরা কোনো রকম স্বীকৃতি বা আর্থিক ক্ষতিপূরণও পাচ্ছেন না।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ব যবহ র র কনট ন ট গ গল র

এছাড়াও পড়ুন:

৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়

টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডেতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়খরা কাটাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাল রাতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সালমান আগাদের ডিএল মেথডে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শাই হোপের দল। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতল ক্যারিবীয়রা। এর আগে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ৮ বছরের জয়খরা কাটিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেটি ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত। প্রথমে ব্যাট করে ৩৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে পাকিস্তান। বৃষ্টি-বিলম্বের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫ ওভারে ১৮১। রোস্টন চেজ ও শারফেন রাদারফোর্ডের সৌজন্যে ১০ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকেরা।

রান তাড়ায় নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছিল দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও এভিন লুইসকে। দুজনকেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হাসান আলী। তিনে নামা কিসি কার্টিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, আবরার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন দলীয় ৪৮ রানে।
এরপর রাদারফোর্ডকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন অধিনায়ক হোপ। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে হোপ স্টাম্পড হন তিনি ((৩৫ বলে ৩২)। নওয়াজ পরের ওভারে ফেরান রাদারফোর্ডকেও (৩৩ বলে ৪৫)। ১০৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাকি পথে আর বিপদে পড়তে দেননি চেজ ও গ্রিভস। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৭২ বলে ৭৭ রান যোগ করে ম্যাচের সমাপ্তি টানেন তাঁরা। চেজ ৪৭ বলে ৪৯ এবং গ্রিভস ৩১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের হয়ে কেউই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন হাসান নওয়াজ। হুসাইন তালাত করেন ৩১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেইডেন সিলস ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। দিন শেষে ম্যাচসেরা অবশ্য চেজই, যিনি ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের আগে একটি উইকেটও নিয়েছেন।
২০১৯ বিশ্বকাপে নটিংহামে ৭ উইকেটে জয়ের পর গতকালের আগপর্যন্ত ৪ বার ওয়ানডেতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিততে পারেনি কোনেটিতেই। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচেও পাকিস্তান জিতেছিল ৫ উইকেট। তিন ম্যাচ সিরিজে এই মুহূর্তে ১-১ সমতা চলছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৩৫ ওভারে ১৭১/৭ (নওয়াজ ৩৬*, তালাত ৩১, শফিক ২৬; সিলস ৩/২৩)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৩.২ ওভারে ১৮৪/৫ (চেজ ৪৯*, রাদারফোর্ড ৪৫, হোপ ৩২; নওয়াজ ২/১৭)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী (ডিএল মেথড)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোস্টন চেজ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ