বান্দরবানে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
Published: 25th, June 2025 GMT
বান্দরবানে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। বুধবার (২৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান সদর থানার ওসি মাসুদ পারভেজ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- অজিত চাকমা (৩৯), রিপন চাকমা প্রকাশ শমেষ (৪৪), অনিয়ন চাকমা (২৩), ওয়াইসে মারমা (২৮), বীর কুমার ত্রিপুরা (২৯) ও সুখেন তঞ্চঙ্গ্যা (২৫)।
পুলিশ সূত্র জানায়, বান্দরবান সদরের নীলাচলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করে সেনাবাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার
টাঙ্গাইলে যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
বান্দরবান জেলা ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক সভাপতি উবামং মারমা বলেন, “বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সংগঠনের ছয়জনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বান্দরবান সদর থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, “চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের ৬ সদস্যকে থানায় সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
ঢাকা/চাইমং/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন দরব ন
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)