ইরানে বোমা হামলার সঙ্গে জাপানে পারমাণবিক বোমা ফেলার তুলনা করলেন ট্রাম্প
Published: 25th, June 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে পারমাণবিক বোমা ফেলার ঘটনার তুলনা করেছেন।
দ্য হেগে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইরান) এ কাজটা (পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন) করতে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছে, কিন্তু সফল হয়নি। বর্তমানে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বেশ ভালোভাবেই চলছে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘এ হামলাই যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু আমরা যদি এতে সফল না হতাম? আমি হিরোশিমার উদাহরণ টানতে চাই না, কিন্তু যেভাবে সেই হামলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থামিয়েছিল, এটাও তেমনই এক আঘাত ছিল। এই হামলা এবারের যুদ্ধের ইতি টেনেছে। যদি আমরা ওটা (ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা) ধ্বংস না করতাম, তারা (ইরান) এখনো লড়াই চালিয়ে যেত।’
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে দ্য হেগে এক বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এ ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্য ছিল.
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, “আমরা জানি না, এটা খুব ভয়াবহও হতে পারত।” তাদের কথাটা হয়তো ঠিক। কিন্তু আমার মতে, “আমরা জানি না” বলার কিছু নেই। ঘটনাটা ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ আর ধ্বংসাত্মক।’
ট্রাম্পের সঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ না হলেও এই হামলার সাফল্য তাঁর জন্য রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের ডানপন্থী সমর্থকেরা আগেই বলেছিলেন, এমন সামরিক হস্তক্ষেপ ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ নীতি এবং বিদেশি যুদ্ধে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে খাপ খায় না।
তবে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানকে কখনো পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেওয়া যাবে না এবং এই নির্ভুল ও সফল হামলা সেটা নিশ্চিত করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, মার্কিন হামলা ইসরায়েল–ইরান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছে। তিনি একে ১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলার সঙ্গে তুলনা করেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতি টেনেছিল।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি হিরোশিমা কিংবা নাগাসাকির উদাহরণ দিতে চাই না, কিন্তু ঘটনাটি আসলে একই রকমের।’
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ‘এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অন্তত কয়েক দশক পিছিয়ে গেছে। আমার মনে হয়, তারা আর কখনো এমন কিছু করার সাহস পাবে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের সঙ্গে ট্রাম্পউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট র ম প বল ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের মানুষ অসাধারণ, খাবার অসাধারণ: বিদায়বেলায় হানিয়া আমির
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেই আলোচনার ঝড় তুলেছেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই।
পাকিস্তানে ফেরার আগে বাংলাদেশের মানুষের পাশাপাশি খাবারেরও প্রশংসা করেছেন হানিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে। বাংলাদেশের ভক্ত ও জনগণকে বিদায় জানানো খুব কঠিন, যারা আমাকে সত্যিই ভালোবাসে এবং সমর্থন করে।’
হানিয়া লিখেছেন, ‘তোমাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসি। খাবার অসাধারণ ছিল, মানুষগুলো অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুনহানিয়া আমির কি পুরোনো প্রেমে ফিরছেন০১ জুলাই ২০২৫একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন হানিয়া। ইতিমধ্যে তাঁর পাকিস্তানে ফেরার কথা রয়েছে।
পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতেও তুমুল জনপ্রিয় হানিয়া। অভিনয় থেকে স্টাইল—সবখানেই তাঁকে নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনা দেখা যায়।
২০১৬ সালে ‘জনান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে হানিয়ার। এক দশকের ক্যারিয়ারে ‘মেরে হামসাফার’, ‘ফেইরি টেল’, ‘দিলরুবা’, ‘আনা’, ‘কাভি মে কাভি তুম’-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।
হানিয়া আমির