পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইনস্টিটিউটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ফরিদপুর সদরের শহরতলীর ডিক্রির চর ইউনিয়নের ধলার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন- গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মধ্য আশুলিয়ার শওকত হোসেনের ছেলে রিয়াজে রাব্বি তামিম (২১) এবং নোয়াখালীর সুধারাম থানার উত্তর শফিপুর গ্রামের মোজাম্মেল হক শামমের ছেলে আব্দুল্লাহ মারুফ (২০)। তারা ওই কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের দুই ডুবরি সদস্য নদীর প্রায় ২০ ফুট নিচ থেকে ডুবন্ত অবস্থায় দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

ফরিদপুর দমকল বাহিনীর লিডার মো.

নিসার আলী বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে মাধ্যমে  খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর দুই ডুবরি সদস্য ডুবন্ত অবস্থায় দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। ধলার মোড় ঘাট এলাকায় তারা ডুবে গিয়েছিলেন। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, নদীর ওই জায়গায় চোরাবালি ও পানির প্রবল ঘূর্ণি ছিল। এতে দুই শিক্ষার্থী তলিয়ে যায়। 

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ত্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষক সানোয়ার হোসেন বলেন, কলেজের ছয় বন্ধু দুপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় মারুফ ভেসে যায়। তাকে বাঁচাতে তামীম এগিয়ে গেলে দু’জনই স্রোতের তোড়ে ডুবে যায়। 

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, মৃতদের পরিবারের সদস্যরা এলে মরদেহ  হস্তান্তর করা হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

নরসিংদীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ ‍উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, দেখা দিচ্ছে শয্যা সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার মশা নিধনে ড্রেনগুলো দ্রুত পরিষ্কারের জন্য পৌরসভার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম তিনদিনে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিনই জ্বর, শরীর ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আসছেন রোগীরা। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদেরকেই ভর্তি করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

বাঁশবাগানে পাওয়া সেই নবজাতক মারা গেছে

রোগীর স্বজন নাসরিন আক্তার বলেন, “আমার ভাই পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি তার ডেঙ্গু হয়েছে। এখন প্লাটিলেট কমে গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অবস্থা গুরুতর। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য করছেন, শয্যার সংকট আর ওষুধের জোগান সবসময় মেলে না।”

আরেক রোগীর বাবা মো. সাহেব আলী বলেন, “আমার ছোট ছেলের বয়স ১০ বছর। জ্বর নিয়ে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাকে। ওর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ, ছেলেকে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সমর্থ্য নেই।”

হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ এক রোগীর চাচা মাহবুব হোসেন বলেন, “হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। ডেঙ্গু যে এত ভয়াবহ হবে বুঝতে পারিনি। প্রশাসন যদি আগে ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন অবস্থা হতো না।”

স্থানীয় কলেজছাত্র জুবায়ের হোসেন বলেন, “জুলাইয়ের শেষ দিক থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, অথচ পৌরসভা থেকে মশা নিধনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি অনেকদিন। আমরা খুব চিন্তায় আছি। শুধু ওষুধ আর হাসপাতাল দিয়ে এই রোগ ঠেকানো যাবে না। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন কারণে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে। প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসছেন জ্বর নিয়ে। অনেকেরই অবস্থা গুরুতর। সীমিত সামর্থ্যে আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সেবা দিতে। রোগীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।”

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ