জুলাই বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: জামায়াত
Published: 25th, June 2025 GMT
“জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছি। তাই দেশ ও জাতির জন্য তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেই তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে হবে।”
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর কাফরুলে কাফরুল থানা জামায়াত আয়োজিত এক নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডা.
আরো পড়ুন:
দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
পঞ্চগড়ে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতা আক্কাস
তিনি জুলাই বিপ্লবের সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জামায়াত আমির বলেন, “আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যে সমাজ বিশ্বনবী (সা.) এর আদর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হবে। যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সব সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। রাসূল (সা.) এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করেছিলেন যে সমাজে সানা থেকে হাজরামাউত পর্যন্ত নারীরা নির্বিঘ্নে-নিরাপদে ও সম্ভ্রম নিয়ে চলাফেরা করতে পারতেন। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভূল।”
তিনি বলেন, “দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”
তিনি দেশকে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সম্মিলিত প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।
জামায়াত আমির বলেন,“দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা চালানো ঐচ্ছিক কোনো বিষয়টি নয় বরং প্রত্যেক মোমিনের ওপরই অত্যাবশ্যকীয় বা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত, আমাদের জন্য ইসলামকেই জীবনবিধান হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। আর কালামে হাকীমকে আমাদের জীবন চলার পাথেয় হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। বস্তুত, মোত্তাকীদের পথ পদর্শনের জন্যই পবিত্র কুরআন জীবন বিধান হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর যারা প্রকৃত পক্ষেই মোস্তাকি তারাই শুধু কুরআন থেকে লাভবান বা উপকৃত হতে পারে। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য আমাদের সবাইকে আল্লাহর বিধান ও রাসূল (সা.) এর আদর্শের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সবাইকে ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।
উপস্থিত ছিলেন মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মিরপুর পূর্ব থানার আমির শাহ আলম তুহিন, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মো. শহীদুল্লাহ, আলাউদ্দিন, তুহিন রেজা তুহিন প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
এনজেল নূরের প্রথম অ্যালবাম ‘প্রাণ-ত’
নিজের জীবনের গল্পে সুর চড়ান এনজেল নূর। প্রথম মৌলিক গান ‘যদি আবার’ গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন তিনি। গানটি ঢাকার গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতায়ও আলোচিত হয়েছে। আরেক মৌলিক গান ‘তিল’ও প্রশংসা কুড়িয়েছে। দুই গানের গল্প বলার ঢঙে জীবনকে সামনে এনেছেন তিনি।
এবার আর একক গান নয়, পুরো অ্যালবামে হাত দিয়েছেন এনজেল। প্রাণ–ত শিরোনামে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করবেন তিনি। ‘কিছু কথা বাকি ছিল’সহ মোট সাতটি গান থাকবে। তবে ‘যদি আবার’ ও ‘তিল’ থাকবে না। অ্যালবামের নামকরণ নিয়ে জানতে চাইলে এই তরুণ গায়ক বলেন, ‘গানগুলো আমার একদম প্রাণে কাছের, ফলে অ্যালবামের নাম প্রাণ–ত। এতে প্রাণজুড়ানো কিছু গান থাকবে, যেখানে কষ্ট বা সুখকে না এড়িয়ে অনুভব করার কথা বলা হয়।’
এনজেল নূর