সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস দেওয়ার অভ্যাস আছে সংগীত শিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির। এবার তার নিশানায় কি সংগীতশিল্পী কনা?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টের মাধ্যমে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনা জানিয়েছেন তিনি দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টেনেছেন।

কনা লিখেছেন, ‘‘জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে - সবই আল্লাহর ইচ্ছা। ঠিক তেমনি যেকোনো বিচ্ছেদ ও হয় তারই ইশারায়।…দীর্ঘ ছয় বছরের বিবাহিত জীবনের পর আমি এবং গোলাম মোহাম্মাদ ইফতেখার গহিন গত ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন করেছি।’’ 

আরো পড়ুন:

‘তাণ্ডব’র প্রদর্শনী বন্ধ, আপনি আছেন বন্দর নিয়ে?’ সরকারের প্রতি নিপুণের প্রশ্ন

এপ্রিলে ২৯৬ ভুল তথ্য শনাক্ত: রিউমার স্ক্যানার

এদিকে সংগীত শিল্পী ন্যান্সি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘জন্ম মৃত্যু বিয়ে বিচ্ছেদ;এর সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়-বাণীতে শেয়াল রাণী’’।

বুধবার রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিচ্ছেদের পোস্ট দেন কনা। তার পোস্ট দেওয়ার ঠিক এক ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে কটাক্ষ ওই পোস্ট দেন ন্যান্সি। 

সংগীত অঙ্গনের মানুষ জানেন কনা-ন্যান্সির সম্পর্ক ‘সাপে-নেউলে’ অবস্থা। ক্যারিয়ারের শুরুতে দুইজনই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তবে ন্যান্সি পরবর্তীতে অনেকাংশেই কনার থেকে পিছিয়ে পড়েন।  ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গানে নিয়মিত থেকেছেন কনা। 

যদিও ন্যান্সি তার পোস্টে কারো নাম উল্লেখ করেননি। তার পোস্টটি কনার পোস্টের একটি বাক্য ব্যবহার করায় নেটিজেনরা ধরেই নিয়েছেন ন্যান্সি কনাকেই ‘শেয়াল রাণী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৪ জুলাই ন্যান্সি একটি শেয়ালের ছবি দিয়ে কনাকে ইঙ্গিত করে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সে সময় কনার গাওয়া ‘তুফান’ সিনেমার ‘দুষ্টু কোকিল’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

কনার পোস্টের শুরুতে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিন শব্দ ন্যান্সির পোস্টের শুরুতেও এই তিন শব্দ। সুতরাং তিনে তিনে ছয় মেলাতে কষ্ট হচ্ছে না নেটিজেনদের।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ