বর্ষায় খুশকির সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
Published: 26th, June 2025 GMT
সারাবছরই চুলের কোনো না কোনো সমস্যা থাকেই। তবে শীত এবং বর্ষাকালে তা বাড়ে। বিশেষ করে খুশকির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এতে অস্বস্তিও বাড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া সমাধান অনুসরণ করতে পারেন।
লেবু
চুলের যত্নে লেবুর তুলনা নেই। খুশকি তাড়াতেও লেবু ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস বের করে চুলের গোড়ায় লাগান। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে প্রথমে ধুয়ে নিন। তার পর শ্যাম্পু করে নিন। এই পদ্ধতি খুশকির সমস্যা কমাবে।
পেঁয়াজ
মাথার ত্বকে পেঁয়াজ ব্যবহার করলে ত্বকে রক্তসঞ্চাল ভালো হয়। প্রথমে খানিকটা পেঁয়াজ বেটে নিন। তারপর বাটা পেঁয়াজটি মাথার ত্বকে মেখে রেখে দিন। চাইলে পেঁয়াজের টুকরোও মাথায় ঘষে নিতে পারেন। তাতেও একই উপকার পাবেন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।
খাবার সোডা, দই ও পুদিনা পাতা
খাবার সোডা এবং দই, দুটিই খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। দই, এক চিমটে খাবার সোডা ও পুদিনা পাতার কুচি দিয়ে একটি মিশ্রণ বানান। তারপর মাথার ত্বকে ভালো করে মাখিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পরে শ্যাম্পু করে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
টি-ট্রি অয়েল
খুশকি হলে মাথার ত্বকে টি ট্রি অয়েল মালিশ করুন। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে খুশকির সমস্যা কমে যাবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: খ শক ম থ র ত বক ত রপর
এছাড়াও পড়ুন:
দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে
দেশে এমনিতেই বনভূমি কমছে, তার ওপর নতুন করে বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে বনের ভেতর অবৈধভাবে স্থাপন করা হাজার হাজার বিদ্যুতের খুঁটি। এসব অবৈধ বিদ্যুৎ–সংযোগ বনভূমি দখলের প্রক্রিয়াকে আরও বেশি ত্বরান্বিত করছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এসব অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করে ফাঁদ পেতে বন্য হাতি হত্যা করা হচ্ছে। যেভাবেই হোক, এসব খুঁটি সরাতেই হবে।
বন অধিদপ্তরের এক জরিপে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও দিনাজপুর অঞ্চলের বনাঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি অবৈধ বিদ্যুতের খুঁটির সন্ধান পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগে—৫ হাজার ৭১৭টি। বন বিভাগ বারবার সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তার ফল মিলেছে সামান্যই। উল্টো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পিডিবির পক্ষ থেকে আসছে পরস্পরবিরোধী ও দায়সারা বক্তব্য।
জনগণের বিদ্যুৎ প্রাপ্তির অধিকার আছে, কিন্তু তার জন্য বনভূমি দখল করে পরিবেশ ও বন্য প্রাণীর জীবন বিপন্ন করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এক সদস্যের ভাষ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই একজন বিদ্যুৎ–সংযোগ পেতে পারেন, কিন্তু বন বিভাগের আপত্তির বিষয়ে তাঁদের তেমন কোনো ধারণা নেই। অথচ বন বিভাগ নিয়মিত চিঠি এবং আইনশৃঙ্খলা সভায় এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এই সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা পুরো বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বনের ভেতর অবৈধ বসতিতে বিদ্যুৎ–সংযোগে বনের ভেতর অবৈধ দখল রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তা ছাড়া মহাবিপন্ন প্রাণীর জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে। গত আট বছরে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ২৬টি হাতি হত্যা করা হয়েছে।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য অবিলম্বে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টার উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে অবৈধ খুঁটি ও সংযোগগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। দ্বিতীয়ত, বন বিভাগ, বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে একটি কার্যকর সমন্বয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তৃতীয়ত, বনের ভেতর যেকোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বা বিদ্যুৎ–সংযোগের ক্ষেত্রে বন বিভাগের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিগত এক–দেড় দশকে বনের ভেতরে সড়ক ও অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগের কারণে টাঙ্গাইল, সিলেটসহ অনেক জায়গায় বনাঞ্চল হারিয়ে গেছে। দেরি হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এখনই কঠোর, কার্যকর ও সমন্বিত ব্যবস্থা নিতে হবে। নীতিনির্ধারকদের এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করতে হবে।