সারাবছরই চুলের কোনো না কোনো সমস্যা থাকেই। তবে শীত এবং বর্ষাকালে তা বাড়ে। বিশেষ করে খুশকির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এতে অস্বস্তিও বাড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া সমাধান অনুসরণ করতে পারেন। 

লেবু
চুলের যত্নে লেবুর তুলনা নেই। খুশকি তাড়াতেও লেবু ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস বের করে চুলের গোড়ায় লাগান। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে প্রথমে ধুয়ে নিন। তার পর শ্যাম্পু করে নিন। এই পদ্ধতি খুশকির সমস্যা কমাবে। 

পেঁয়াজ
মাথার ত্বকে পেঁয়াজ ব্যবহার করলে ত্বকে রক্তসঞ্চাল ভালো হয়। প্রথমে খানিকটা পেঁয়াজ বেটে নিন। তারপর বাটা পেঁয়াজটি মাথার ত্বকে মেখে রেখে দিন। চাইলে পেঁয়াজের টুকরোও মাথায় ঘষে নিতে পারেন। তাতেও একই উপকার পাবেন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।

খাবার সোডা, দই ও পুদিনা পাতা
খাবার সোডা এবং দই, দুটিই খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। দই, এক চিমটে খাবার সোডা ও পুদিনা পাতার কুচি দিয়ে একটি মিশ্রণ বানান। তারপর মাথার ত্বকে ভালো করে মাখিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পরে শ্যাম্পু করে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।

টি-ট্রি অয়েল
খুশকি হলে মাথার ত্বকে টি ট্রি অয়েল মালিশ করুন। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে খুশকির সমস্যা কমে যাবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: খ শক ম থ র ত বক ত রপর

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আনোয়ার হোসেন (৩১) নামের রেনেটা লিমিটেডের এক বিক্রয়কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বেতগাড়ী এলাকায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়কের পূর্ব পাশে ফটকি সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনোয়ার হোসেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের খোয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর আকন্দপাড়ায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন। রেনেটা লিমিটেডে তিনি সহকারী পরিবেশন কর্মকর্তা (সহকারী ডিস্ট্রিবিউশন কর্মকর্তা) পদে চাকরি করতেন। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থানায় এখনো হত্যা মামলা হয়নি। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে ঢাকা–রংপুর মহাসড়কের পাশে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এক পথচারী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দেন। শাজাহানপুর থানা–পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানা–পুলিশকে জানায়। পরে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হয়, এটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু নয়।

হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের গতি ও সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হয়, নিহত আনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত হওয়ার পর শাজাহানপুর থানা–পুলিশ লাশটি তাদের হেফাজতে নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ