৪৩ দিন পর নগর ভবনে ফিরলেন ডিএসসিসি প্রশাসক
Published: 26th, June 2025 GMT
৪৩ দিন পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে ফিরেছেন সংস্থাটির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নগর ভবনে যান তিনি।
নগর ভবনে গিয়ে মো. শাহজাহান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আর পেছনের দিকে তাকাতে চাই না। আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। সামনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনেকগুলো কাজ করবো। এরমধ্যে বাজেট প্রণয়নের কাজটি দ্রুত শেষ করা হবে।
এ সময় তিনি বলেন, আজ থেকে সব বিভাগের কার্যক্রম শুরু হবে। এসময় তিনি ডিএসসিসির সকল প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান। এসময় সংস্থাটির প্রকৌশল বিভাগের অনেক কর্মকর্তাকেও নগর ভবনে যেতে দেখা গেছে।
এদিন নগর ভবনে ডিএসসিসি প্রশাসক গেলে বিএনপি নেতা ইশরাককে সমর্থন জানানো জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আরিফ চৌধুরী ও বেলায়েত হোসেন বাবু অভ্যর্থনা জানান। এসময় তারা নগর কর্তৃপক্ষকে সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
আরিফ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি নেতা ইশরাক ঢাকাবাসীসহ সকলকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রশাসক ও প্রকৌশল দপ্তরকে সকল ধরনের সহযোগিতা করতে।
এর আগে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত ১৪ মে থেকে 'ঢাকাবাসী' ব্যানারে নগর ভবনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তার সমর্থকরা। ওই দিন থেকেই সংস্থাটির প্রশাসক আর নগর ভবনে যেতে পারেননি।
গত রোববার ইশরাক সমর্থকরা তাদের চলমান আন্দোলন কিছুটা সীমিত করে দৈনন্দিন সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে তারা সেদিন প্রশাসক ও প্রকৌশল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এসস স নগর ভবন ইশর ক হ স ন নগর ভবন ড এসস স ইশর ক
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: নৌবাহিনী প্রধান
নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেছেন, “বর্তমান সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এই নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে নৌবাহিনী।”
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপড়ায় অবস্থিত বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে ৪১৭ জন নবীন নাবিকের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জনগণের জানমাল ও সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষে, ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ইন এইট টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য নৌবাহিনী তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। এসব এলাকায় নিয়োজিত নৌসদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং এলাকা সমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সব ভূমিকা পালন করে দেশবাসীর কাছে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছেন।”
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব সরকার চট্টগ্রাম জয়দেব লিমিটেডের ওপর ন্যাস্ত করেছে। এতে অল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গতিশীলতা এসেছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।”
নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, “সব নৌসদস্যকে আরো যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গর্বিত সদস্য হিসেবে দেশ সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের সংকটময় মুহূর্তে সর্বসাধারণের জানমাল রক্ষা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা প্রদান এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে প্রযুক্তি নির্ভর ও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর জন্য নিবেদিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
পেশা হিসেবে দেশ সেবা ও দেশ গড়ার পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নৌবাহিনী প্রধান নাবিকদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। নবীন নাবিকরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসও, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নৌবাহিনী প্রধান প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এসময় নবীন নাবিকরা জাতীয় পতাকা স্পর্শ করে দেশের প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেন। পরে পেশাগত ও সব বিষয়ে সর্বোচ্চ উৎকর্ষ অর্জন করায় সেরা চৌকশ নাবিক হিসেবে রিজন মোল্লাকে ‘নৌপ্রধান পদক’, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী মো. মারুফ হাসান মুন্নাকে ‘কমখুল পদক’ এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী মো. হাসান আলীকে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ দেওয়া হয়।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ