এইচএসসি: আজ পরীক্ষায় বসছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী
Published: 26th, June 2025 GMT
সারা দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হবে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি। গতবারের তুলনায় যা প্রায় ৭৩ হাজার কম। আলিমে এবার পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি। দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে নেওয়া হবে পরীক্ষা।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
সভায় প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁস সংক্রান্ত গুজব এবং পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের কাছে নকল সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এসময় সাইবার সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি, বাংলাদেশের হটলাইনে (নম্বর-০১৩২০০১০১৪৮) যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসনের জন্য কেন্দ্রগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে এবং এসময়ের পর কোনও পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এর পরে প্রবেশ করলে রেজিস্টারে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো কক্ষে পরীক্ষা বিলম্বে শুরু হলে—যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের ততটুকু সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১০ সাল থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। তবে কোভিড মহামারীর কারণে এই সূচি পাল্টে যায়। ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ ও ২০২২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ র পর ক ষ প রব শ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকাকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তা
সিদ্ধিরগঞ্জে শাহিন সিকদার (৪২) ও হাফিজা আক্তার (২৯) নামে প্রেমিক জুটিকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবির ঘটনায় ৫ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসময় ১টি হাতুড়ী ও ২টি স্টীলের পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাত ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকাস্থ মিতালী মার্কেটের ১নং ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষ থেকে অপহৃতদের উদ্ধার পূর্বক অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, বরগুনা জেলার তালতলী থানার চন্দনতলা এলাকার সামছুল আলমের ছেলে ও সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতেন পাড়া এলাকার সোহাগের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মো: সাখাওয়াত হোসেন (৩৮), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার লক্ষীপুর এলাকার মৃত মনু মিয়ার ছেলে ও মিজমিজি সাহেবপাড়া এলাকার ফজলুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মহিন উদ্দিন (৩৬), ফরিদপুর জেলার সালথা থানার বট্টি এলাকার আক্কাস শেখের ছেলে ও সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি সাহেবপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো: হৃদয় শেখ (৩০), চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার ডালিমদা এলাকার শাহ আলমের ছেলে ও সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি সাহেবপাড়া খলিলের আয়রণ কারখানার শ্রমিক মো: ইমরান (২০) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার কলমা এলাকার মৃত আবুল হোসেন মৃধার ছেলে ফতুল্লার সাহেবপাড়া মিতালী মার্কেটের ৫ম তলার বাসিন্ধা মো: খলিল (৩৪)।
অপহৃতরা হলো, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার শ্রীনগর এলাকার আব্দুল কুদ্দুস সিকদারের ছেলে শাহিন সিকদার ও একই জেলা ও থানার উত্তর বাজিতা এলাকার গাফ্ফার হাওলাদারের মেয়ে ও সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া হাফিজা আক্তার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অপহৃত শাহিন সিকদার পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাঁর গ্রামের বাড়ীতে একটি মুদি দোকান রয়েছে। হাফিজা আক্তার এবং তিনি পাশাপাশি ইউনিয়নে বসবাস করে। সেই সুবাদে হাফিজা আক্তার সম্পর্কে তাঁর প্রতিবেশী ও পূর্ব পরিচিত।
হাফিজা আক্তার তার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তার সাথে কথা বার্তার একপর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারপর হাফিজা আক্তারের প্রথম সংসারে বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
পরবর্তীতে হাফিজা আক্তার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতেনপাড়া এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে গার্মেন্টসে চাকরী করতে থাকে এবং তারা উভয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বার্তা বলতে থাকে। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় শাহিন হাফিজা আক্তারের সাথে দেখা করার জন্য সাইবোর্ড ফুটওভার ব্রীজের পূর্ব পাশে রাস্তার উপর এসে পৌছলে হাফিজা আক্তারের সাথে দেখা হয়।
এসময় হাফিজা আক্তারের সাথে কথাবার্তার একপর্যায়ে ১নং বিবাদী কৌশলে তাদের কাছে এস কোন অজুহাত ছাড়াই তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। তখন শাহিন তার সাথে কথা কাটাকাটি করলে অন্যান্য বিবাদীরা তাদের কাছে আসে এবং তারপর সকল বিবাদীরা পরিকল্পনা অনুযায়ী জোরপূর্বক অজ্ঞাতনামা একটি অটোতে শাহিন ও হাফিজা আক্তারকে উঠাইয়া অপহরণ করে সাইনবোর্ড এলাকার মিতালী মার্কেটের ১নং ভবনের ২য় তলায় অজ্ঞাত একটি রুমের ভিতরে নিয়া তাদের আটক করে রাখে।
তারপর বিবাদীরা মুক্তিপণ বাবদ তাদের কাছে নগদ এক লাখ টাকা দাবী করে। তখন তারা বিবাদীদের দাবীকৃত টাকা প্রদানে অস্বীকার করলে বিবাদীরা লোহার হাতুড়ী ও এসএস স্টীলের পাইপ দ্বারা শাহীনকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করতে থাকে। তারপর বিবাদীদের ভয়ে শাহীন তার মানিব্যাগে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা দেয় এবং বিবাদীরা অবশিষ্ট টাকার জন্য তাকে আরও মারপিট করতে থাকলে সে আত্মীয় স্বজনকে অবহিত করে।
তারপর তার আত্মীয়-স্বজনরা বিষয়টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ বর্ণিতস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে এবং অপহরণের সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, এ ঘটনায় আজ থানায় একটি মামলা দায়ের শেষে আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।