ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির দুইদিন পর, ইরান তাদের আকাশসীমা আংশিকভাবে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আখওয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে বলেন, “দেশের পূর্বাঞ্চলের আকাশসীমা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য, পাশাপাশি ইরানের আকাশসীমা দিয়ে যাতায়াতকারী বিমানের জন্যও খুলে দেওয়া হয়েছে।”
আখাওয়ান আরো জানান, তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দর এবং রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যার তীব্র নিন্দা জানালো ইরান
আল-আকসায় দুই শতাধিক অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর হানা
মার্কিন-মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর তেহরান তার আকাশসীমা আংশিকভাবে চালুর এই ঘোষণা দিলো।
গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলার পর, দুই চিরশত্রুর মধ্যে ১২ দিনের তীব্র সংঘাতের অবসান হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)