সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ
Published: 26th, June 2025 GMT
দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ শীর্ষক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দেন।
বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউবেল এনার্জি এজেন্সির ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌরবিদ্যুৎ প্রসার ও ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৭.
আরো পড়ুন:
জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
স্কাউটিংয়ের অভিজ্ঞতায় ভবিষ্যতের পৃথিবী রচনায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতোমধ্যেই ৫ হাজার ২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার স্থলভিত্তিক ৫৫টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের টেন্ডার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়নে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। এর অংশ হিসেবে তিনি সব সরকারি ভবন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও সব সরকারি হাসপাতালের ছাদে রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সরকারি ভবনে সোলার প্যানেল বসানোর কাজটি বেসরকারি উদ্যোগে করা যায় কি না, সে ব্যাপারে বিবেচনা করুন। যারা বসাবে, তারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই এটার রক্ষণাবেক্ষণ করবে ও কার্যকরভাবে এটা পরিচালনা করবে। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু ছাদটা দেওয়া হবে, বাকি কাজ তারাই করবে।”
তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠান রুফটপ সোলার প্যানেল করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। তারা কী ধরনের সমস্যায় পড়েছে, সেগুলো জানতে হবে। সেই সমস্যাগুলো সমাধানের দিকে যেতে হবে।”
এ প্রক্রিয়ায় সরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য কোনো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে না এবং সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত ছাদের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়া পাবে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং মাধ্যমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস
ঢাকা/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স রব দ য ৎ সব সরক র ব সরক র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে ১০১ কেজি গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার
সোনারগাঁয়ে র্যাব-১১-এর পৃথক দুটি অভিযানে ১০১ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ ছয়জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৫টি চাপাতি, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ৫টি ছুরি, একটি সুইচ গিয়ার ও একটি বড় দা।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলো- মফিজুল ইসলাম ওরফে জামিল বাবু (২৮), সাইফুল ইসলাম সাকিব (২৫), মো. মানিক (৩১), সাদ্দাম (৩২), সহিদ (৩৭) এবং মনির হোসেন (৫৭)। তারা সকলেই সোনারগায়ের বাসিন্দা। এ সময় গাঁজা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
সোমবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে র্যাব-১১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানান। এরআগে ভোর ৫টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগায়ে পাচকানিরকান্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মেঘনা-টু-বটতলা সড়ক থেকে ১০১ কেজি গাঁজাসহ একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
র্যাব-১১’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা এলাকায় যানযটের সময় এবং নিজেরা গাছের গুড়ি ফেলে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে সাধারণ মানুষের সর্বস্ব লুটে নিতো। তারা অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বিদেশগামী যাত্রীদের বেশি টার্গেট করে ডাকাতি করে।
গ্রেপ্তারকৃত মফিজুল ইসলাম ওরফে জামিল বাবুর নামে হত্যা সহ ৪টি, সাইফুল ইসলাম সাকিবের নামে হত্যা-নাশকতা-মাদক সহ ৪টি, মানিকের নামে হত্যা সহ ৩টি, সাদ্দামের নামে ডাকাতি-হত্যা-মাদক-অস্ত্র-চুরি সহ ১৮টি, সহিদের নামে হত্যা এবং মনিরের নামে চুরি-মাদক সহ ৫টি মামলা রয়েছে। এই চক্রের অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, চক্রের অবশিষ্ট সদস্যদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং উদ্ধারকৃত মাদক সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে।