বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আনোয়ার হোসেন (৩১) নামের রেনেটা লিমিটেডের এক বিক্রয়কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বেতগাড়ী এলাকায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়কের পূর্ব পাশে ফটকি সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনোয়ার হোসেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের খোয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর আকন্দপাড়ায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন। রেনেটা লিমিটেডে তিনি সহকারী পরিবেশন কর্মকর্তা (সহকারী ডিস্ট্রিবিউশন কর্মকর্তা) পদে চাকরি করতেন। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থানায় এখনো হত্যা মামলা হয়নি। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে ঢাকা–রংপুর মহাসড়কের পাশে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এক পথচারী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দেন। শাজাহানপুর থানা–পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানা–পুলিশকে জানায়। পরে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হয়, এটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু নয়।

হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের গতি ও সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হয়, নিহত আনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত হওয়ার পর শাজাহানপুর থানা–পুলিশ লাশটি তাদের হেফাজতে নেয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ইওয় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ