বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংসদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম ইমন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তানজিম আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কনফারেন্স রুমে ‘মানবো না বাঁধা মানবো না ক্ষতি, চোখে যুদ্ধের দৃঢ় সম্মতি” স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের ৩৩তম কাউন্সিল অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

জাবির আবাসিক হল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

জাবিতে অটোরিকশা চালুর দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

আলিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ। তিনি নতুন কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান এবং ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

১৫ সদস্যের কমিটিতে আছেন, সহ-সভাপতি কাইমুল হক, কাওছার আহমেদ, অর্ণা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আকাশ আহাম্মেদ, আদিত্য, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান ফয়সাল, কোষাধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক সাদিয়া ইমরোজ ইলা, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নিরব পাটোয়ারি, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মেধা চৌধুরী।

এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন, আলিফ মাহমুদ, সাইফুল ইসলাম এবং আল আরাফ। কমিটির আরো দুটি সদস্যপদ শূন্য রয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

নবনির্বাচিত সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, “বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রামী ছাত্র সংগঠন। ‘ঐক্য, শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি’ এই মূলনীতিতে বিশ্বাসী ছাত্র ইউনিয়ন সব ধরনের বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা, দুঃশাসন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা একটি নিরাপদ, মানবিক ও মুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ। সময় এসেছে একত্রে দাঁড়িয়ে শিক্ষার গুণগত মান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেননি ১৭ শিক্ষার্থী

প্রবেশপত্র না পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি জামালপুর পৌর এলাকার দড়িপাড়ায় প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৭ শিক্ষার্থী।  বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা না দিতে পেরে কলেজটির সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বুধবার রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রবেশপত্র না পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে হট্টগোল শুরু করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এক পর্যায়ে কলেজের সাইনবোর্ড খুলে ফটকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান অধ্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানটির লোকজন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ অতিরিক্ত টাকা নিলেও রেজিস্ট্রশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ১০ জন, মানবিকের চারজন ও ব্যবসায়ী শিক্ষার তিনজন শিক্ষার্থী রয়েছে।

অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম আত্মগোপনে থাকায় তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁর ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বছর জামালপুর জেলায় ৫২টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৫৭৫ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অংশ নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ