জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ইমন, সম্পাদক তানজিম
Published: 26th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংসদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম ইমন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তানজিম আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কনফারেন্স রুমে ‘মানবো না বাঁধা মানবো না ক্ষতি, চোখে যুদ্ধের দৃঢ় সম্মতি” স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের ৩৩তম কাউন্সিল অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
জাবির আবাসিক হল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
জাবিতে অটোরিকশা চালুর দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
আলিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ। তিনি নতুন কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান এবং ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
১৫ সদস্যের কমিটিতে আছেন, সহ-সভাপতি কাইমুল হক, কাওছার আহমেদ, অর্ণা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আকাশ আহাম্মেদ, আদিত্য, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান ফয়সাল, কোষাধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক সাদিয়া ইমরোজ ইলা, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নিরব পাটোয়ারি, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মেধা চৌধুরী।
এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন, আলিফ মাহমুদ, সাইফুল ইসলাম এবং আল আরাফ। কমিটির আরো দুটি সদস্যপদ শূন্য রয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
নবনির্বাচিত সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, “বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রামী ছাত্র সংগঠন। ‘ঐক্য, শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি’ এই মূলনীতিতে বিশ্বাসী ছাত্র ইউনিয়ন সব ধরনের বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা, দুঃশাসন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা একটি নিরাপদ, মানবিক ও মুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ। সময় এসেছে একত্রে দাঁড়িয়ে শিক্ষার গুণগত মান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)