ঢাকায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস, জুলাইয়ের শুরুতে দেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে
Published: 27th, June 2025 GMT
মৌসুমি বায়ু এ বছর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এসে পড়েছিল দেশে। এর ফলে মে মাসের শেষ দিকে বৃষ্টিও হয়েছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। এর মধ্যে ছিল গভীর নিম্নচাপ। দুইয়ে মিলে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অনেকটাই। চলতি জুন মাসে দুই দফায় দেশজুড়ে বৃষ্টি হয়। তবে মাসের শেষ দিকে এসে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি বাড়তে পারে আগামী জুলাই মাসের শুরুর দিক থেকে। আর আজ শুক্রবার রাজধানীতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, আজ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোনো কোনো স্থানে আবার ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আজ রাজধানীতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দুপুরের পরে এ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকালও রাজধানীতে চার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে এরপরও গরম কমেনি। যদিও রাজধানীতে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সামান্য বেশি।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজ বলেন, বর্ষার সময়ের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতিই এমন। এখন বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরমের ভাবটা যেতে চায় না। ভারী বৃষ্টি না হলে ঠান্ডা হয় না। কারণ, বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। এর কারণেই বৃষ্টি হলেও স্বস্তি মেলে না।
দেশে সাধারণত মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে ৩১ মে। এবার ২৪ মে এই বায়ু চলে আসে। সেই সঙ্গে আসে বৃষ্টি। আবার মে মাসের শেষ সপ্তাহে সাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। তাতে বৃষ্টিও বেড়ে যায়। চলতি জুন মাসের শুরুতে বৃষ্টি থাকলেও তা কমে যায়। তবে মাসের মাঝামাঝি দেশজুড়ে প্রবল বৃষ্টি হয়। তিন থেকে চার দিন এই বৃষ্টি চলে। তারপর আবার ২২ তারিখ থেকে বৃষ্টি কমে আসে। এখন বৃষ্টি যে একেবারে কমে গেছে, তা নয়। তবে একটানা বৃষ্টি বলতে যা বোঝায়, তা হচ্ছে না।
আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু এখন কিছুটা কম সক্রিয়। আর এর কারণে বৃষ্টিও কমে গেছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, এখন বৃষ্টি একটু কম থাকলেও আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টি বাড়তে পারে। সপ্তাহের শুরুতে একটানা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধানুশের সঙ্গে প্রেম নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন ম্রুণাল
বেশ কিছু দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, বলিউড অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুরের সঙ্গে প্রেম করছেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশ। তাদের একাধিক ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চর্চা চললেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তারা। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন ম্রুণাল।
ধানুশের সঙ্গে নাম জড়িয়ে যে গুঞ্জন উড়ছে, সে সম্পর্কে অবগত ম্রুণাল ঠাকুর। শুরুতে এটিকে ‘মজা’ হিসেবে দেখেছেন এই অভিনেত্রী। ‘অনলি কলিউড’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্রুণাল ঠাকুর সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, “ধানুশ কেবল আমার ভালো বন্ধু।”
আপনার জন্যই কি ‘সন অব সরদার টু’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে চেন্নাই থেকে মুম্বাই উড়ে গিয়েছিলেন ধানুশ? এই প্রশ্নের উত্তরে ম্রুণাল ঠাকুর বলেন, “ধানুশ ‘সন অব সরদার টু’ সিনেমার ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। এটাকে কেউ ভুলভাবে নেবেন না। কারণ উনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অজয় দেবগন।”
আরো পড়ুন:
ব্যর্থ পবন, লোকসান ১৭৩ কোটি টাকা
মুক্তির আগেই রজনীকান্তের সিনেমার আয় ৩৪৬ কোটি টাকা
একাধিকবার একসঙ্গে দেখা গেছে ধানুশ ও ম্রুণাল ঠাকুরকে। তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটি প্রথম নজরে পড়ে, যখন ম্রুণাল ঠাকুরের জন্মদিনের পার্টিতে যান ধানুশ। এ পার্টিতে পরস্পরের হাত ধরে ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে তাদের কথা বলতে দেখা যায়। এ মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপ এখন অনলাইনে ভাইরাল।
এরপর ম্রুণাল ঠাকুর অভিনীত ‘সন অব সরদার টু’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশ নেন ধানুশ। সেখানেও একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়। মূলত, তারপরই অনেকের মনে প্রশ্ন—তারা কি কেবল বন্ধু, না কি এর চেয়েও বেশি কিছু? ম্রুণাল ‘বন্ধু’ বললেও এখনো নীরব ধানুশ।
তামিল সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন ধানুশ। ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর বিয়ে করেন তারা। এই দম্পতির দুই ছেলে—যাত্রা ও লিঙ্গা। ২০২২ সালের শুরুতে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া।
তারপর পরিবার এবং আদালত ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোর চেষ্টা বহুবার করেও ব্যর্থ হন। গত বছরের ২৭ নভেম্বর এ দম্পতির বিচ্ছেদের আবেদন গ্রহণ করেন আদালত। তারপর থেকে একা জীবনযাপন করছেন ধানুশ।
ঢাকা/শান্ত