মৌসুমি বায়ু এ বছর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এসে পড়েছিল দেশে। এর ফলে মে মাসের শেষ দিকে বৃষ্টিও হয়েছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। এর মধ্যে ছিল গভীর নিম্নচাপ। দুইয়ে মিলে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অনেকটাই। চলতি জুন মাসে দুই দফায় দেশজুড়ে বৃষ্টি হয়। তবে মাসের শেষ দিকে এসে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি বাড়তে পারে আগামী জুলাই মাসের শুরুর দিক থেকে। আর আজ শুক্রবার রাজধানীতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, আজ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোনো কোনো স্থানে আবার ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আজ রাজধানীতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দুপুরের পরে এ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

গতকালও রাজধানীতে চার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে এরপরও গরম কমেনি। যদিও রাজধানীতে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সামান্য বেশি।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজ বলেন, বর্ষার সময়ের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতিই এমন। এখন বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরমের ভাবটা যেতে চায় না। ভারী বৃষ্টি না হলে ঠান্ডা হয় না। কারণ, বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। এর কারণেই বৃষ্টি হলেও স্বস্তি মেলে না।

দেশে সাধারণত মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে ৩১ মে। এবার ২৪ মে এই বায়ু চলে আসে। সেই সঙ্গে আসে বৃষ্টি। আবার মে মাসের শেষ সপ্তাহে সাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। তাতে বৃষ্টিও বেড়ে যায়। চলতি জুন মাসের শুরুতে বৃষ্টি থাকলেও তা কমে যায়। তবে মাসের মাঝামাঝি দেশজুড়ে প্রবল বৃষ্টি হয়। তিন থেকে চার দিন এই বৃষ্টি চলে। তারপর আবার ২২ তারিখ থেকে বৃষ্টি কমে আসে। এখন বৃষ্টি যে একেবারে কমে গেছে, তা নয়। তবে একটানা বৃষ্টি বলতে যা বোঝায়, তা হচ্ছে না।

আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু এখন কিছুটা কম সক্রিয়। আর এর কারণে বৃষ্টিও কমে গেছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, এখন বৃষ্টি একটু কম থাকলেও আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টি বাড়তে পারে। সপ্তাহের শুরুতে একটানা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের মুনাফা কমেছে ১৩.৭২ শতাংশ

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে আগের হিসাব বছরের তুলনায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) কমেছে ১৩.৭২ শতাংশ।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রবিবার (১৬ নভেম্বর) কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হয়।

২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৮৮ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.০২ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটি আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.১৪ টাকা বা ১৩.৭২ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.২৪ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ০.৩৫ টাকা।

২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৫.৬৭ টাকা।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ