চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলী মোড়কে ‘দস্তগীর চৌধুরী চত্বর’ নামকরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর নামে মোড়টিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মী ও পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সিটি করপোরেশন সড়ক, ভবন ও স্থাপনা নামকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, নামকরণের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি নামকরণ উপ-কমিটির সদস্যরা।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা দস্তগীর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এক এগারোর পর তিনিই চট্টগ্রামের প্রথম রাজনীতিবিদ হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের অবৈধ শাসনামলেও তিনি সাহসিকতার সঙ্গে কঠিন সময়ে রাজনীতি করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দস্তগীর চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও তার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ক্রীড়া উন্নয়নে তার অবদান চট্টগ্রামবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’

সিটি করপোরেশন সড়ক, ভবন ও স্থাপনা নামকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, কোন অবকাঠামোর নামকরণের প্রস্তাব পাওয়ার পর নামকরণ উপ-কমিটি সুপারিশ করবেন। এরপর মেয়রের অনুমোদন নিয়ে সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে। সাধারণ সভায় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নামকরণের প্রস্তাব পূর্বানুমোদনের স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে হবে।

সরকারের পূর্বানুমোদনের পাওয়ার পর নামকরণ চূড়ান্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এসব নিয়ম মানা হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে নামকরণ উপ কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সম্প্রতি নামকরণের প্রস্তাব নিয়ে কমিটির কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য হাজী মো. সালাউদ্দিনের পরিচালনায় ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম ও নিয়াজ মোহাম্মদ খান, চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, নুর উদ্দিন নুরু, মা ও শিশু হাসপাতালের সভাপতি মোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ, মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন নাহার দস্তগীর ও সন্তান ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন মকরণ র র সদস য প রস ত

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের মুনাফা কমেছে ১৩.৭২ শতাংশ

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে আগের হিসাব বছরের তুলনায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) কমেছে ১৩.৭২ শতাংশ।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রবিবার (১৬ নভেম্বর) কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হয়।

২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৮৮ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.০২ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটি আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.১৪ টাকা বা ১৩.৭২ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.২৪ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ০.৩৫ টাকা।

২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৫.৬৭ টাকা।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ