নিউইয়র্কের মেয়র প্রার্থী জোহরান আসলেই কি ‘কমিউনিস্ট’, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
Published: 27th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের আসন্ন মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে অনেক রিপাবলিকান রাজনীতিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী তাঁকে ভুলভাবে ‘কমিউনিস্ট’ বলে থাকেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৫ জুন নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘জোহরান মামদানি ১০০ ভাগ পাগলাটে কমিউনিস্ট।’
রক্ষণশীল ঘরানার পডকাস্ট উপস্থাপক নিক সোরটর ২৩ জুন এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘জোহরান মামদানি শুধু সমাজতন্ত্রী নন, তিনি একজন পুরোপুরি কমিউনিস্ট।’ তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে জোহরান নগর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন মুদির দোকানের নেটওয়ার্ক তৈরির কথা বলছেন। সোরটরের ভাষায়, ‘(জোহরান) বার্নি স্যান্ডার্সের চেয়েও অনেক বেশি বামপন্থী। তিনি সরকার পরিচালিত মুদির দোকান চান।’
দ্য ডেইলি ওয়্যারের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং পডকাস্টার বেন শ্যাপিরো বলেন, ‘আজকের সবচেয়ে বড় খবর: নিউইয়র্কের পরবর্তী মেয়র হতে যাচ্ছেন একজন কমিউনিস্ট।’ রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিকও এক্সে জোহরানকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে উল্লেখ করেছেন।
নিউইয়র্কে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন জোহরান মামদানি। পাশে মা মিরা নায়ার (বাঁয়ে), বাবা মাহমুদ মামদানি ও স্ত্রী রমা দুওয়াজি। যুক্তরাষ্ট্র, ২৫ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ির ঘটনায় জাতিসংঘকে যুক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি
খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনার তদন্তে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একজন সদস্যের সমন্বয়ে একজন বিচারপতির নেতৃত্বে অনতিবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ বুধবার ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বলেছে, আদিবাসী কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের জন্য দায়ী দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার না করে বরং খাগড়াছড়ির নিরীহ ও নিরস্ত্র জুম্ম জনগোষ্ঠীর ওপর সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে। এতে ৩ জন নিহত, অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বাড়িঘর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উসকানিমূলক বক্তব্য খাগড়াছড়িসহ গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
বিবৃতিতে ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেক পরিবারকে অন্যূন এক কোটি টাকা করে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে অন্যূন পঁচিশ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও সরকারি খরচে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবিও জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ।