মাগুরায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, জেলের মরদেহ উদ্ধার
Published: 27th, June 2025 GMT
মাগুরা ও ফরিদপুরের সীমান্তবর্তী মধুমতী নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রায় দুইদিন পর শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে মহম্মদপুর উপজেলার পাচুড়িয়া ঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শৌখিন খান (৪০) মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গত বুধবার রাত দুইটার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চণ্ডিবিলা মাঝিপাড়া ঘাট এলাকায় ওই সংঘর্ষ হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, শৌখিন খান চার সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে ও একটি ছেলে আছে। ছেলেটিও অসুস্থ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শৌখিন খান ও হুমায়ুন শেখ নামের একজন স্থানীয় ব্যক্তি চায়না জাল ফেলে মাছ ধরতে নদীতে যান। একই সময় ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের জব্বার মোল্লা, রবিউল মোল্লা ও আরও একজন ব্যক্তি একই এলাকায় মাছ ধরছিলেন। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে মাছ ধরা শেষে শৌখিন ও হুমায়ুন বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় শৌখিন খানের নৌকা জব্বার মোল্লার জালের ওপর দিয়ে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জব্বার মোল্লা বইঠা দিয়ে শৌখিনকে আঘাত করলে তিনি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।
নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই আলী আফজাল বলেন, ‘‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হঠাৎ ঝগড়া বাধিয়ে জব্বার ও রবিউল মোল্লা তাকে মেরে পানিতে ফেলে দিয়েছে। ভাইয়ের স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে দিশাহারা। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’’
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাদের ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, ‘‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি ফরিদপুরের মধুখালী থানার আওতাধীন, সেহেতু মামলাটি সেখানেই হবে।’’
শাহীন//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
১০৩ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে শুটিং ও অসুস্থ বাবা, প্রসংশা পাচ্ছে সেই নাটক
নাটকের নাম ‘মাটির মেয়ে’। নামের মাঝোই মাটির ঘ্রাণ রয়েছে যেনো। রয়েছে আবহমান বাংলার চিরায়ত গল্পের প্রতিচ্ছবি। যে নাটকে গ্রামের সহজ সরল একজন মেয়ের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যাকে খাঁচায় বন্দি করা যায়, যাকে অত্যাচার করা যায়। এতোটাই সরল সে। মূলত কঠিন এই পৃথিবীতে একজন নারীর সহজ-সরল নারীর পরিণতির বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে।
নাটকটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা আর্থিক সজীব। এতে মূল ভুমিকায় অভিনয় করেছেন শায়লা সাথী।
অভিনেত্রীর ভাষ্য, চরিত্রটিতে অভিনয়ের দারুণ সুযোগ ছিল। ১০৩ডিগ্রী জ্বর ও বাবার অসুস্থতা মাথায় নিয়ে আমি নাটকটির শুটিং করেছি। চেষ্টা করেছি বিপদে পড়া মেয়ের বাস্তবতা ফিল করতে। চোখের ভাষায়, হাঁটাচলায় সেই অনুভূতিগুলো ফুটিয়ে তুলতে। দর্শক যদি একটু থেমে চরিত্রটার কষ্টটুকু উপলব্ধি করেন-তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক।’
নাটকে শায়লা সাথীর পথচলা বেশ ক’বছরের। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। অভিনয়ের ছলাকলা শিখেই তাই এ অঙ্গনে পা রাখছেন। যার প্রমাণ নাটকটিতে পাওয়া গেল।
প্রচারের পর নাটক গ্রহণ করেছে দর্শক। প্রিয়ন্তি নামের একটি ইউটিউবে নাটকে প্রচারের দুই দিনেরম মাথায় প্রায় তিন মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। ক্লাসিক ফ্রেমিং দিয়ে, আবেগ ও আবহ সংগীতের সংমিশ্রণের এই নাটকের মন্তব্যের ঘরে সব মন্তব্যই পজেটিভ।
নির্মাতা বলেন, “এই নাটকটিতে আমি একজন সহজ সরল মাটির মেয়ের জীবনের কষ্ট গুলো তুলে ধরেছি, নাটকটিতে একাধিক মনটাজের ব্যবহার করা হয়েছে , এটি একটি অফ-ট্রাকের সিনেমাটিক গল্প ।এই গল্পে শায়লা সাথী দারুন অভিনয় করেছে। আমার বিশ্বাস দর্শকদের অন্যরকম এক আবেগে ভাসাবে নাটকটি।
শায়লা সাথী ছাড়াও নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, ইফতেখার দিনার, তামিম, তুহিন চৌধুরী, সাবেরি আলম, সূচনা শিকদারসহ অনেকেই।