Samakal:
2025-08-12@05:22:56 GMT

দাদার বাড়ির ঈদের স্মৃতি

Published: 27th, June 2025 GMT

দাদার বাড়ির ঈদের স্মৃতি

নীলফামারীর সরকারপাড়ায় আমার দাদার বাড়ি। এই ঈদে আমি আমার বড় কাজিন ইথেন ভাইয়ার সাথে বাবা-মাকে ছাড়া আগেই নীলফামারী যাই। আমার ভাইসহ বাবা-মা পড়ে আসেন। এবার ঈদে দাদার বাড়িতে অনেক মজা করেছি। যখন কিছু করার ছিলো না তখন আমি টিনটিন কমিকস পড়েছি। ঈদের আগে বাবা আমাকে ১৩টি টিনটিন কমিকস কিনে দিয়েছেন। এবার আমি অনেক কাঁচা-পাকা আম এবং কাঁঠাল খেয়েছি। বাবার মতো কাঁঠাল আমার অনেক প্রিয় ফল। এই প্রথম নিজের চোখের সামনে গাছ থেকে পাকা আম পড়তে দেখেছি। সমস্যা হলো, পাকা আম গাছ থেকে পড়লে ফেটে নষ্ট হয়ে যায়; তাই ঠিকমতো খাওয়া যায় না। দাদাবাড়ি থেকে একটু দূরে নদী দেখতে গিয়েছিলাম। আমি, ছোট ভাই আফসানসহ প্রথমবার নদী পার হয়ে ওপাড়ে গিয়েছিলাম। রোদের কারণে নদীতীরের বালু অনেক গরম ছিলো। এবার গরমের কারণে বাবা আমাকে গরুর হাটে যেতে দেননি। আমার বড় আম্মু আমাকে তাঁর হাতের তৈরি দই খাইয়েছেন। বড় আব্বু বাজার থেকে গুলগুলা কিনে এনে খাইয়েছেন। ফুটবল খেলেছি আরাফ ভাইয়া, সোপান ভাইয়া এবং আফসানদের সঙ্গে। আমি গোলকিপার ছিলাম এবং ৩-৪টা গোল সেভ করেছি। আমার আপিরা রাতের বেলা অনেক ভূতের গল্প বলেছে। এক দাদু বিডিআর ছিলেন। তিনি যুদ্ধের গল্প শুনিয়েছেন আমাদের। 
ঈদের নামাজ পড়তে বড়দের সঙ্গে ঈদগাহে যাই। নামাজ শেষে কোলাকুলি করি, দাদার কবরে দোয়া করি এবং ফিরে এসে গরু কোরবানি দেখি। আমি আবার দাদাবাড়ি যেতে চাই। আমার দাদাবাড়ি ভালোবাসি। তোমরাও নিশ্চয়ই গ্রামের বাড়ি পছন্দ করো!
বয়স : ১+৩+৪ বছর; দ্বিতীয় শ্রেণি, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ধানুশের সঙ্গে প্রেম নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন ম্রুণাল

বেশ কিছু দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, বলিউড অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুরের সঙ্গে প্রেম করছেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশ। তাদের একাধিক ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চর্চা চললেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তারা। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন ম্রুণাল।  

ধানুশের সঙ্গে নাম জড়িয়ে যে গুঞ্জন উড়ছে, সে সম্পর্কে অবগত ম্রুণাল ঠাকুর। শুরুতে এটিকে ‘মজা’ হিসেবে দেখেছেন এই অভিনেত্রী। ‘অনলি কলিউড’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্রুণাল ঠাকুর সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, “ধানুশ কেবল আমার ভালো বন্ধু।” 

আপনার জন্যই কি ‘সন অব সরদার টু’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে চেন্নাই থেকে মুম্বাই উড়ে গিয়েছিলেন ধানুশ? এই প্রশ্নের উত্তরে ম্রুণাল ঠাকুর বলেন, “ধানুশ ‘সন অব সরদার টু’ সিনেমার ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। এটাকে কেউ ভুলভাবে নেবেন না। কারণ উনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অজয় দেবগন।” 

আরো পড়ুন:

ব্যর্থ পবন, লোকসান ১৭৩ কোটি টাকা

মুক্তির আগেই রজনীকান্তের সিনেমার আয় ৩৪৬ কোটি টাকা

একাধিকবার একসঙ্গে দেখা গেছে ধানুশ ও ম্রুণাল ঠাকুরকে। তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটি প্রথম নজরে পড়ে, যখন ম্রুণাল ঠাকুরের জন্মদিনের পার্টিতে যান ধানুশ। এ পার্টিতে পরস্পরের হাত ধরে ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে তাদের কথা বলতে দেখা যায়। এ মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপ এখন অনলাইনে ভাইরাল।

এরপর ম্রুণাল ঠাকুর অভিনীত ‘সন অব সরদার টু’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশ নেন ধানুশ। সেখানেও একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়। মূলত, তারপরই অনেকের মনে প্রশ্ন—তারা কি কেবল বন্ধু, না কি এর চেয়েও বেশি কিছু? ম্রুণাল ‘বন্ধু’ বললেও এখনো নীরব ধানুশ। 

তামিল সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন ধানুশ। ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর বিয়ে করেন তারা। এই দম্পতির দুই ছেলে—যাত্রা ও লিঙ্গা। ২০২২ সালের শুরুতে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া।  

তারপর পরিবার এবং আদালত ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোর চেষ্টা বহুবার করেও ব্যর্থ হন। গত বছরের ২৭ নভেম্বর এ দম্পতির বিচ্ছেদের আবেদন গ্রহণ করেন আদালত। তারপর থেকে একা জীবনযাপন করছেন ধানুশ। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ