নাজমুল হোসেনের টেস্ট অধিনায়কত্ব–অধ্যায় শেষ। কলম্বো টেস্টে বাংলাদেশের হারের পর এই সংস্করণে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণাটা তিনি নিজেই দিয়েছেন। নাজমুল শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর আর টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকতে চান না, সেটা শোনা যাচ্ছিল তাঁকে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই।

আজ এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন নাজমুল। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনটি সংস্করণেই অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া নাজমুল আজকের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কোনো সংস্করণেই আর অধিনায়ক রইলেন না। নাজমুলের অধিনায়কত্বে কেমন করল বাংলাদেশ, সে প্রশ্ন এখনই উঠতেই পারে।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার আগেও এই সংস্করণে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল। ২০২৩ সালের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে নাজমুলের অধীনেই খেলেছিল বাংলাদেশ।

৪টেস্ট ও ওয়ানডেতে নাজমুলের জয়ের সংখ্যা

সব মিলিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৪ ম্যাচে। যেখানে বাংলাদেশ জিতেছে ৪টি, হেরেছে ৯ ম্যাচ। আর শ্রীলঙ্কা সিরিজে গলে প্রথম টেস্টে পাওয়া ড্র–ই নাজমুলের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশের একমাত্র ড্র।

এ সময়ে বাংলাদেশ পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষেও টেস্ট জিতেছে। অধিনায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হারায় নিউজিল্যান্ডকে। গত বছর রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২–০ তে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। বাকি জয়টা এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি বছরেই।

আরও পড়ুনইনিংস হারে প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিংকে দুষলেন নাজমুল১ ঘণ্টা আগে

টেস্টে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট ১৪ অধিনায়কের মধ্যে ৭ জন অধিনায়ক ন্যূনতম ১০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন—মুশফিকুর রহিম (৩৪), সাকিব আল হাসান (১৯), হাবিবুল বাশার (১৮), মুমিনুল হক (১৭), নাজমুল হোসেন (১৪), মোহাম্মদ আশরাফুল (১৩) ও খালেদ মাসুদ (১২)। তাঁদের মধ্যে নাজমুলের জয়ের হার সবচেয়ে বেশি (২৮.

৫৭ শতাংশ)।

নাজমুলের অধীনে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স স করণ

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন ইলন মাস্ক, কেন

অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন এক্সএআই, স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন এআই অ্যাপকে সহায়তা দিতে অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের অ্যাপ স্টোরের র‍্যাংঙ্কিংয়ে কারসাজি করছে। এ কারণে আইওএসের প্রস্তাবিত অ্যাপ তালিকায় এক্স বা এক্সএআইয়ের তৈরি গ্রোক চ্যাটবটকে রাখা হয়নি। এ বিষয়ে এক্সএআই ‘তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা’ নেবে।

একাধিক পোস্টে ইলন মাস্ক জানান, অ্যাপল এমন আচরণ করছে, যাতে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো এআই প্রতিষ্ঠান অ্যাপস্টোরের শীর্ষে উঠতে না পারে। এটি নিঃসন্দেহে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনের শামিল। তাই এখন মামলা করা ছাড়া সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। তবে মাস্ক এসব অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি। মামলাটি ইতিমধ্যে দায়ের করা হয়েছে কি না, সেটিও স্পষ্ট নয়। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে চ্যাটজিপিটি ফ্রি আইফোন অ্যাপের তালিকায় প্রথম স্থানে, আর গ্রোক রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনের ডিপসিক এআই সাময়িকভাবে চ্যাটজিপিটিকে সরিয়ে প্রথম স্থানে উঠেছিল। ফলে মাস্কের দাবি ‘অন্য কোনো এআই অ্যাপের পক্ষে শীর্ষে ওঠা অসম্ভব’ বাস্তবে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুনঅফিসেই ঘুমাচ্ছেন ইলন মাস্ক, কেন২২ জুলাই ২০২৫

প্রযুক্তি–বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, মাস্কের এই অভিযোগে বিদ্রূপাত্মক দিকও রয়েছে। কারণ, ২০২২ সালে টুইটার (বর্তমানে এক্স) অধিগ্রহণের পর প্ল্যাটফর্মটির অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে নিজের পোস্টকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অভিযোগ আগে থেকেই রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের এক গবেষণাতেও দেখা গেছে, এক্সের অ্যালগরিদম ইচ্ছাকৃতভাবে মাস্কের পোস্ট বেশি প্রচার করে। এ প্রসঙ্গে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান ২০২৩ সালের প্ল্যাটফর্মারের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেন। যেখানে বলা হয়, মাস্ক তাঁর পোস্টগুলো সব ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন।

আরও পড়ুনইলন মাস্ক, বিল গেটস দিনে ৮ ঘণ্টা কাজে বিশ্বাসী নন০১ মে ২০২৫

অবশ্য মাস্কের সঙ্গে অ্যাপল ও ওপেনএআইয়ের এটিই প্রথম দ্বন্দ্ব নয়। মাস্ক ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। পরে প্রতিষ্ঠানটি মুনাফাভিত্তিক ব্যবসায় রূপ নেওয়ার পর তিনি এর বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেন, যা সর্বসম্মতভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়। এমনকি গত বছর অ্যাপল ও ওপেনএআই যৌথভাবে আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাকে চ্যাটজিপিটি যুক্ত করার ঘোষণা দিলে মাস্ক হুমকি দেন। তখন তিনি জানান, অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমে ওপেনএআই প্রযুক্তি সংযুক্ত হলে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষেত্রে অ্যাপল পণ্য নিষিদ্ধ করা হবে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

আরও পড়ুনইলন মাস্ক সম্পর্কে চমকপ্রদ ২১ তথ্য, যা হয়তো আপনার অজানা২২ নভেম্বর ২০২২

সম্পর্কিত নিবন্ধ