ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী বহনকারী বাসের চাপায় হাফিজুর রহমান (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার স্বস্তিপুর এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হাফিজুর রহমান পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার জাগরকোল গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।

চৌড়হাস হাইওয়ে থানা পুলিশ জানায়, সকালে থানার একটি টিম কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে স্বত্তিপুর এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিল। সকাল সাড়ে দশটার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাতায়ন নামে ছাত্রীদের বহন করা একটি বাস দ্রুতগতিতে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিল। স্বস্তিপুর এলাকায় যাওয়ার মুহূর্তে সামনে একটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়ে সড়কের পাশে দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল হাফিজুর রহমানকে চাপা দেয় বাসটি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজুরকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ বাসটি জব্দ করলেও চালক পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানান, বাসটি জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছেন। মরদেহ পরিবারের কাছ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড.

শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির একটি দল হাইওয়ে থানায় গিয়েছিল। আইনগত বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বাসের কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা বা দুর্ঘটনায় চালকের কোনো ত্রুটি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত হ ইওয়

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ